তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত দু’মাস আগে ফুসফুসে ক্যানসারে তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন। সোমবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উত্তর কলকাতার রামকৃষ্ণ দাস লেনে নিজ বাসভবনে ঘুমের মধ্যে মারা যান তিনি।সোমবার বিকেলেই নিমতলা শ্মশানে অমিত বসুর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস শুর এবং সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক।শোক প্রকাশ করেছেন কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার মিয়া মহম্মদ মাইনুল কবির।
অমিত বসু দীর্ঘ দিন বাংলাদেশের গণমাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। ঢাকার ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’ পত্রিকায় কলকাতা প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। এর পাশাপাশি কলকাতার ‘তারা নিউজ’-এর বাংলাদেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব ছিলেন।
ঢাকার দৈনিক সমকাল ও দৈনিক ‘কালের কণ্ঠ’তে তিনি বহু উপসম্পাদকীয় লিখেছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যিক হিসাবে পাঠকমহলে সুপরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশে বিভিন্ন সংবাদপত্রে ঈদ সংখ্যার তার উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। যা পরবর্তি সময়ে কলকাতা থেকে বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
মরমিয়া, বিহান, উজান তার লেখা উপন্যাসের মধ্যে কয়েকটি। ঢাকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ২০১৬ সালে ইদ সংখ্যায় ‘দোসর’ উপন্যাস প্রকাশিত হয়। এটাই ছিল তার লেখা শেষ উপন্যাস।