ডেস্ক নিউজ :: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প বাবার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন। মার্কিন সরকারের অন্য সব কর্মকর্তার মতোই তিনি দায়িত্ব এবং মর্যাদা পাবেন। তবে অন্যদের সঙ্গে তার তফাত্ হলো, এ কাজের জন্য ইভাঙ্কা কোনো বেতন নেবেন না।
ইভাঙ্কার স্বামী জারেড কুশনারও প্রেসিডেন্টের সিনিয়র সহকারি হিসেবে কাজ করছেন। তিনিও কোনো বেতন-ভাতা নিচ্ছেন না। ট্রাম্পের মূল দায়িত্ব হবে হোয়াইট হাউসে আসা বিদেশী কুটনীতিক ও অতিথিদের সঙ্গে বৈঠক করা।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইভাঙ্কা ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের প্রথম কন্যা হিসেবে বাবাকে সহযোগিতার জন্যে নজিরবিহীন এ দায়িত্ব নিতে সম্মত হওয়ায় আমরা আনন্দিত।’ উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ইভাঙ্কাকে নিয়মিতভাবে হোয়াইট হাউসে উপস্থিত থাকতে দেখা যাচ্ছে। সেখানে তিনি ইতিমধ্যে একটি অফিসও নিয়েছেন।
তবে ইভাঙ্কাকে হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব দেয়ার কারণে সমালোচনাও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। ইভাঙ্কাও বিষয়টি বুঝতে পরে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমি জানতে পেরেছি বাবা আমাকে হোয়াইট হাউসে সরকারি দায়িত্ব দেয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন এটা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য কিনা। আমার চাকরির খুব প্রয়োজন থাকলে অন্য কোথাও সেটা নিতে পারতাম। কিন্তু আমি সমালোচকদের উদ্বেগ ও প্রশ্নের প্রতি সম্মান রেখে জানাচ্ছি, বাবার অনুরোধে আমি এই দায়িত্ব কাধে নিলেও সম্মানি হিসেবে সরকারের তহবিল থেকে এক পয়সাও বেতন কিংবা অন্য কোনো সুবিধা নেব না।
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউস থেকেও পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইভাঙ্কা অবৈতনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাই সরকারের নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের যে প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন, তা অযৌক্তিক। তিনি নৈতিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে মার্কিন জনগণের জন্য দায়িত্ব পালন করে যাবেন।