ষ্টাফ রিপোর্টার :: জন্মনিরোধক ব্যবহার করার অন্যতম দুটি কারণ হল, অযাচিত গর্ভধারণ রোধ এবং যৌনবাহিত রোগ থেকে রক্ষা। আর সবচেয়ে কার্যকর নিরোধক হল কনডম। বেশিরভাগই মনে করেন শারীরিক সম্পর্কের সময় ব্যবহার করলেই হল, এর বেশি আর কী জানার আছে।
তবে যখন কনডমের বিষয় আসে তখন বিভিন্ন রকম ভুলের বিষয়গুলোও চলে আসে। কারণ অনেক অজানা কারণে এই গর্ভনিরোধক ঠিকমতো কাজ নাও করতে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ‘রাবার’ নিরোধক ব্যবহারের ভুলগুলো তুলে ধরা হয়।
অনেকদিনের অব্যবহৃত
আলমারিতে বা ব্যাগে ফেলে রাখা কনডম ব্যবহার নিরাপদ নাও হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সেক্সুয়াল হেল্থ প্রোমোশন সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অধ্যাপক ডেবি হার্বনিক (পিএইচ ডি) বলেন, “যদি দেখেন আপনার সঙ্গী মানিব্যাগ থেকে কনডম বের করছেন, তবে সেটা বাদ দিয়ে নতুন ব্যবহার করুন। কারণ ঘরে পড়ে থাকা বা মানিব্যাগে থাকা কনডমে অযাচিত ঘষা লাগা এবং গরম তাপমাত্রার কারণে কনডমের কার্যকারিতা হারাতে পারে।”
বেশি জায়গা না রাখা
কনডমের সামনের দিকে কিছুটা জায়গা বাড়তি থাকে। যেখানে শরীরর থেকে বের হওয়া ‘তরল’ জমা হয়। বেশি আঁটসাঁট করে পরলে সঙ্গমের সময় কনডম ফুটা হয়ে যেতে পারে বা ফেটেও যেতে পারে।
এই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে হার্বনিক পরামর্শ দেন, “কনডমের সামনের সুচালো অংশ চেপে ধরে তারপর পরিধান করুন। এতে ভেতরে বাতাস আটকে থাকার সম্ভাবনা থাকবে না, এবং যথাযথভাবে দৃঢ়ভাবে পরা হবে।”
ভুল মাপ
“বেশিরভাগ কনডমই যে কোনো পুরুষের ক্ষেত্রে সঠিক মাপের হয়। তবে কারও যৌনাঙ্গ বেশি বড় আবার কারও ছোট হতে পারে। তাদের খেয়াল করতে হবে, যে মাপ ঠিকমতো লাগবে সেটা ব্যবহার করা। কারণ বেশি ঢিলা হলে কনডম সঙ্গমের সময় খুলে যেতে পারে। আর বেশি চেপে থাকলে ফেটে যেতে পারে।” বললেন হার্বনিক।
দেরিতে পরা
সঙ্গমের সময় অনেকেই প্রথম থেকে কনডম ব্যবহার করেন না। তারা মনে করেন একেবারে ‘শেষ পর্যায়ে’ পরে কাজ শেষ করবেন। তবে এই ভুলের কারণে অযাচিত গর্ভধারণ এবং যৌনবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়, জানালেন হার্বনিক।
সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, যেসব যুগল শারীরিক সম্পর্কের নিরাপত্তায় কনডম এবং পিল দুটোই ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ পুরুষ সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার করেন। বাকিরা হয় খুব দেরিতে অথবা বেশি আগে পরেন।তাই হার্বনিকের পরামর্শ হচ্ছে, যদি পূর্ণ নিরাপত্তা চান তবে সঙ্গম শুরুর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কনডম ব্যবহার করুন।
সব পণ্যের মতো কনডমেরও নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তবে ব্র্যান্ড ভেদে এক একটির মেয়াদ একেক রকম হয়। আর মেয়াদের মধ্যে থাকলেও সেটা ঠিক থাকবে, তাও নয়।
হার্বনিক বলেন, “কনডমে ব্যবহার করা লুব্রিকেন্টের অন্যতম উপাদান স্পারমিসাইড। যা অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি দোকান থেকে কেনা কনডমের ক্ষেত্রেও এটা হতে পারে।” তাই যতটা সম্ভব নতুন কনডম ব্যবহার করে নিরাপদ থাকুন।