‘ওরা মুক্ত, ওরা নিরাপদ’মিলন কর্মকার রাজু কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :: মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টা। কুয়াকাটা সৈকতের পূর্বদিকে কয়েকশ ফুট দূরে অর্ধশত পর্যটক। সবাই ব্যস্ত প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখা। বসন্তের প্রথম দিনে এরা কুয়াকাটা ভ্রমনে এসেছেন। সাগরের শান্ত ঢেউয়ের তালে সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছে একদল শিশু। যেন ওরা আজ মুক্ত পাখি। ইট পাথরের দেয়াল ভেঙ্গে ওরা দেখা পেয়েছে প্রকৃতি, সৌন্দর্য ও স্পর্শ পেয়েছে সাগরের। শান্ত সাগরও নিরাপদে শিশুদের সাথে খেলছে।

কুয়াকাটা সৈকতে বসন্তকে বরন ও ভালবাসা দিবস উপলক্ষে গত দু’দিন ধরে পর্যটকদের আগমন ক্রমশ বাড়ছে। শেষ বিকালে সৈকতে হাজারো পর্যটকদের সমাগম দেশের শেষ সীমান্তের উপকূলের মানুষকেও বসন্ত ঋতুর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এখানে কোন উৎসব না থাকলেও কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের পদচারণা ও তাঁদের বাহারী পোষাকে বসন্ত বরণ করার প্রস’তিতে সামিল হয়েছে এখানকার মানুষও। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সাগর তীরেই পর্যটকদের এ বসন্ত বরণ।

কুয়াকাটা সৈকত নিরিবিলি থাকায় পর্যটকদের সাথে ভ্রমনে আসা শিশুরাও ছিলো এ বসন্ত উৎসবের সাক্ষী। তারা সৈকতে ঘুরে বেড়িয়েছে পূর্ব থেকে পশ্চিমে।

বরিশাল থেকে কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসা পর্যটক দম্পতি সাইদুল রহমান ও লিমা রহমান বলেন, তাদের দুই সন্তানই মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়িয়েছে। সৈকত নিরাপদ হওয়ায় এখানে বিপদের সম্ভাবনা কম। একইভাবে তাদের সাথে অণ্য শিশুরা ঘুরে বেড়িয়েছে সাগর তীর ঘেসে।

একাধিক পর্যটক জানান, কুয়াকাটা মানেই প্রকৃতিতে ঘেরা, সৌন্দর্য ও শান্ত সাগর। তাই কোন উৎসবে কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসা তাদের কাছে বাড়তি পাওনা। তবে সৈকত যদি আরেকটু প্রসস’্য হতো তাহলে পর্যটকরা এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতো পারতো।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here