Abdullah ১.
জলায়িত সুবাস

প্রিপারেশন নিতে-না-নিতেই ডুবে যাচ্ছে চোখ। আর নামহীন যে ঝড় বয়ে গেলো কাল। তার তান্ডবে ছিঁড়ে যাওয়া কারেন্টের তারে— যে গাভীটির মৃত্যু হলো,তার পাশ দিয়েই ভেসে যাচ্ছে সুবাসিত ফুল— হিযলের পাপড়ি।

এখন মৃত গাভী— ডুবে যাওয়া ক্ষেত— আর সুবাসিত হিযল— কম্বিনেশনটা ভাবতে ভাবতে মাথাটা ঘুরছে জলকুন্ডলীর ভিতর ; ছোট ডিঙির মত।

আর আকাশ থেকে টিনের চালে ঝরে পড়া বৃষ্টির ছন্দে— রবি ঠাকুরের বৃষ্টির গান নেমে এলে ঘরে ; অকস্মাৎ ঝড়ের ধাক্কায় ভেঙ্গে যাওয়া সুপারিগাছ— জানালার কাঁচ ভেঙে ঢুকে পড়ে বিছানায়। ঝড়ের ঝাপটায় আঙুল বেয়ে নেমে আসে রক্ত। ভিতরে ভিতরে শুনতে পাই কৃষকের— হাড় ভাঙচুরের শব্দ।

এভাবে আমরা বর্ষার চরিত্র ভেঙ্গে যখন ঢুকে পড়ি হেডলাইন-রং পোশাকের ভেতর ; ডুবে যাওয়া সড়কের পাশে— কেউ টাঙিয়ে দেয় বিজ্ঞাপনি ভঙ্গিতে। আর কেউ গেঁথে রাখে কবিতার পাতায়।

২.
বিগত পাপড়ি

জানালার মেহগনিকাঠের ফ্রেম ভেঙ্গে নেমে এলে— নতুন ভোরের গন্ধ ; সংবাদপত্রের মৃত হেডলাইন জিবীত হয়ে ওঠে। আর শিমুলের ডালে— চেয়ে থাকে সদ্য ঘুমভাঙা দোয়েলের শিস। সন্ধ্যা ভেঙে— কোকিলের কণ্ঠে নেমে আসে— ফুলের ব্যাকুলতা।

আমাকে প্যেচিয়ে রাখে,যে রাতেরা— জেগে ওঠে আবার— কৃষ্ণচুড়া লাল। আর আকাশের বর্ণ হলুদ -লাল হতে থাকে। ইচ্ছে করে স্পর্শ করি সূর্যের দীর্ঘতা।দুহাত ফিরিয়ে দেয়— স্থগিত অন্ধকার।

অতপর,আমি পাশ ফিরে তাকাই। দেখি— দক্ষিণ জানালার গ্রীলে পড়ে আছে— গাঁদাফুলের কিছু বিগত পাপড়ি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here