এই ছবিটির পিছনের রহস্যটা কি আপনি জানেন!ডেস্ক নিউজ :: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের পদত্যাগের পর থেকে এই ছবিটাই এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘোরাঘুরি করছে। এককথায় রীতিমত ভাইরাল! সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কার্যত সবাই সদ্যবিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের ব্যক্তিত্বকে তুলে ধরছেন। নিজের কাজ নিজে করার মধ্যে যে প্রশান্তি, সেটিকেই সামনে আনছেন। তবে বিপত্তিটা বেঁধেছে ভাইরাল ছবির গল্প নিয়ে।

এই ছবিটি যারা নিজের ফেসবুক কিংবা টুইটারে শেয়ার করছেন, তার বর্ণনায় লিখছেন- সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ছেড়ে নতুন বাড়িতে উঠার সময় ক্যামেরন নাকি নিজ হাতে ঘরের জিনিষপত্র নিয়ে যাচ্ছেন। এতেই নাকি শীর্ষ ক্ষমতাধর হয়েও ব্যক্তি ক্যামেরনের দায়িত্ববোধের পরিচয় ওঠে আসে। অনেকেই নিজের দেশে এমন প্রধানমন্ত্রী কবে পাবে, তা নিয়েও আক্ষেপ চর্চা শুরু করে দিয়েছেন। ইন্টারনেটে ভাইরাল ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, একটা কাগজের কার্টন হাতে তিনি কিছু একটা নিয়ে যাচ্ছেন, যার গায়ে লেখা ‘সযত্নে সামলান’। কিন্তু ছবি সম্পর্কে প্রকৃত সত্য হল- ছবিটি আজ থেকে নয় বছর আগে তোলা, ২০০৭ সালে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকা না-থাকার প্রশ্নে গত ২৩ জুন ব্রিটেনের নাগরিকেরা গণভোটে অংশ নেন। এতে ব্রেক্সিট পক্ষের জয় নিশ্চিত হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করেন ডেভিড ক্যামেরন। সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বুধবারই ছিল তার শেষ কর্মদিবস। এই পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি তাকে ছাড়তে হয়েছে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সরকারি বাসভবনও। আর এখানেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন অনেকে।
২০০৭ সালে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ছবিটি ২০০৭ সালেরই। সে সময় ব্রিটেনের পার্লামেন্টে ডেভিড ক্যামেরন বিরোধীদলীয় নেতা। লন্ডনের নর্থ কেনসিংটনে বাড়ি বদলের সময় এভাবেই ক্যামেরাবন্দী হয়েছিলেন তিনি। এরও তিন বছর পর, ২০১০ সালে ক্যামেরন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এই ছবিতে বর্তমানে ৪৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিককে বেশ তরুণই মনে হয়। এ ছাড়া একটু ভালো করে খেয়াল করলেই বোঝা যায়, তিনি কোনও বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না, তিনি একটি বাড়িতে ঢুকছেন।
যদিও এই সত্যটাও চাপা নেই ইন্টারনেটে। এরপরও ছবিটি নিয়ে বিভ্রান্তি আর শেয়ার থেমে নেই। টুইটারে এক ইউজার লিখেছেন, ‘আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি ক্যামেরনের এই ছবিটা ২০০৭ সালের।’ শুধু পোস্ট আপলোড করা নয়, এর সপক্ষে প্রমাণও দিয়েছেন ওই ইউজার!

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here