মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :: আর মাত্র ক-দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে খুলনার পাইকগাছায় বিপনী বিতানগুলোতে উপচে পড়া ভীড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। নারী-পুরুষ সহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ তাদের নতুন জামা কাপড় সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে ভীড় জমাচ্ছেন বিপনী বিতানগুলোতে। শেষ মুহূর্তে ঈদ উপলক্ষে কেনা কাটায় জমে উঠেছে।
উল্লেখ্য, আর ৬-৭ দিন পর সারা দেশে উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। আর প্রধান এ ধর্মীয় উৎসব, উৎসব মুখর করে তুলতে যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো কমতি নেই। রমজানের শুরুতেই ঈদের কেনা কাটায় তেমন কোনো প্রভাব না পড়লেও শেষ দিকে এসে জমে উঠেছে ঈদের কেনা কাটা।
আগে ভাগেই কেনা কাটার কাজ সেরে নিতে সবাই এখন বিভিন্ন বিপনী বিতান গুলোতে কেউ কিনছেন প্রসাধনী, কেউ কিনছেন জামা-কাপড়, কেউ আবার তৈরি করছেন প্রয়োজনীয় নতুন পোশাক। তবে সব চেয়ে বেশী কেনা কাটা জমে উঠেছে সিট কাপড়ের দোকান গুলোতে। বিগত ঈদে লেহাংগা ও ফ্লোর টার্চ পোশাকের কদর দেখা গেলেও এবারের ঈদে তরুনীদের পছন্দের পোশাক দো’পাট্টা ও গাউন, মহিলারা কিনছেন সুতি ওড়না, লেলিন কাপড়, গজ কাপড় ও কাতান কাপড় সহ বিভিন্ন সিট কাপড়।
উপজেলার বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনির (বিনোদগঞ্জ) কয়েক জন বিপনী বিতান মালিক জানান, রমজানের শুরুর দিকে বেচা কেনা একটু কম ছিল তবে ঈদের সময় যত ঈদ এগিয়ে আসছে ততই ক্রেতাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা জানান, সাধারণ থ্রিপিচ ৪শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দো-পাট্টা ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ এবং গাউন ৮শ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
কলেজ ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, এ বারের ঈদে তিনি ২ হাজার টাকা মূল্যের গাউন কিনেছেন। একই প্রতিষ্ঠানের আরেক শিক্ষার্থী নাসরিন জানান, এবারের ঈদে তার পছন্দের পোশাক দো-পাট্টা। বাবা মায়ের সাথে ঈদের কেনা কাটা করতে এসে সে নিজের জন্য ১ হাজার ৮শ টাকার মূল্যের দো-পাট্টা কিনেছে। বর্তমানে কেনা বেচার যে ধারা এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিগত ঈদের চেয়েও এবারের ঈদে ব্যবসা ভালোই হবে বলে জানিয়েছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা।