নতুন জামা, নতুন পাজামা, ঈদগা ময়দানে নামাজ আদায় মতো কাজগুলো সম্পন্ন হলেও ঈদুল আযহার প্রধান কাজ আত্মত্যাগ তথা কুরবানি পশু জবাইয়ের বিষয়টি সম্পন্ন করেনি অনেকেই। তাই সোমবার ঈদের দিনের পরও জমজমাট ছিল গাবতলীর পশুর হাট। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ত্রিশ ট্রাক গরু এসে পৌঁছেছে গাবতলী পশুর হাটে। তবে দাম কমেনি। কিন্তু ক্রেতাদের মধ্যে খানিকটা স্বস্তি মিলেছে। ঈদুল আযহার প্রথম দিন পেরিয়ে গেলেও তারা ভাবছেন, অন্তত কুরবানির পশু তো কিনতে পারা যাবে।
রাজধানীতে পশুর সংখ্যা কম ও দাম বেশি থাকায় এপর্যন্ত যারা কুরবানির পশু কিনতে পারেননি তারা ঈদের নামায শেষে সোমবার গাবতলী হাটে ছুটেছেন গরু, ছাগল কিংবা মহিষ কেনার জন্য। আগত ক্রেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীরা রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন শিক্ষকের পুত্র ফয়সাল আরেফিন দীপন। পেশায় প্রকাশক। জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্তাধিকারী ফয়সাল জানালেন, রোববার দিনভর চেষ্টা করেও কুরবানির পশু কিনতে পারেননি বেশি দামের কারণে।অপর এক শিক্ষকের মেয়ে অন্তরা জানালেন, রোববার একটানা নয় ঘণ্টা হাটে ঘোরাঘুরি করেও কিনতে ব্যর্থ হয়েছেন। আজ আবার এসেছেন সকালে।
নগরীর জুরাইন এলাকা থেকে আসা ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘দুইটি বাচ্চা গরু কিনেছি ৫০ হাজার টাকায়। দাম কালকের মতোই বেশি। গরু নেই, আর আসবেও না। তাই বেশি দামেই কিনতে বাধ্য হলাম।’’গরু ব্যবসায়ী জালাল জানালেন, ‘‘৪২টি গরু নিয়া আসছিলাম শনিবার সকালে। সব কয়টা বিক্রি করছি ভালো দামে। আর দুইটা আছে, দাম ভালোই হবে।’’ লাভ কেমন হলো? জিজ্ঞাসা করলে কিছু বলতে রাজি নন জালাল। বলেন, ‘‘ব্যবসার জন্যেই তো গরু বেচা।’’ বাকী দুটি গরুও বিকাল নাগাদ বিক্রি করার ব্যাপারে আশাবাদী জালাল।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট/ঢাকা