ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য প্রদেশ পাপুয়ায় বিমানবাহিনীর পরিবহনকাজে ব্যবহৃত বিমান হারকিউলিস সি-১৩০ পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ১৩ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। পাপুয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় বিমানটির প্রশিক্ষণ মহড়া চলছিল।
আজ রোববার স্থানীয় সময় সকালে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। পাহাড়ে বিধ্বস্ত হবার আগে হারকিউলিস সি-১৩০ বিমানটি স্থানীয় সময় রবিবার ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ওয়ামেনা যাওয়ার উদ্দেশে টিমিকা থেকে যাত্রা আরম্ভ করে। বিমানটিতে ৩ পাইলট এবং ১০ জন সেনা সদস্য ছিলেন। দেশটির বিমানবাহিনী প্রধান আগাস সুপ্রিয়াতনা বলেছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
তল্লাশি ও উদ্ধারকারী সংস্থার অভিযানকাজের পরিচালক ইভান আহমদ রিসকি টিটাস জানান, দ্য হারকিউলিস সি১৩০ নম্বর বিমানটি টিমিকা শহর ছেড়ে উড্ডয়ন করে। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ছয়টার দিকে বিমানটি গন্তব্যস্থল ওয়ামেনার কাছেই অবস্থান করছিল। তিনি আরও জানান, বিমানটি লিসুওয়া পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল শনাক্ত করে নিহত ব্যক্তিদের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি দেশটির বিমানবাহিনী। সেখান থেকে মরদেহগুলো ওয়ামেনায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ প্রত্যন্ত পার্বত্যঞ্চল পাপুয়ায় এলাকায় যাতায়াতের জন্য যাতায়াতের জন্য বিমানই প্রধান যান। এসব এলাকায় সড়কপথে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশের দুর্গম এলাকায় বিমানে করেই সামরিক কর্মকর্তাদের আনা-নেওয়া করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই সড়কপথে যাওয়ার কোনও রাস্তা থাকে না।