ইউনাইটেড নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর বিকল রেগুলেটর সংস্কার কাজ শুরু

জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাটের মেঘনা নদী সংলগ্ন রহমতখালী খালের ওপর স্লুইস গেইটের নেভিগেশন লকসহ ১৪ ভেন্টের দুইটি রেগুলেটর সংস্কার শুরু হয়েছে। এটি মেরামতের খবর পেয়ে হাসি ফুটেছে স্থানীয় কৃষকদের মুখে।

রেগুলেটর দু’টি বিকল হয়ে প্রায় সবগুলো গেট বন্ধ থাকায় নদী থেকে পানি খালে প্রবেশ করতে পারছিল না। রোপণ করা যাচ্ছিলা না বোরো ধানের চারা। এতে হাজার-হাজার কৃষক বিপাকে পড়েন।

গত ১০ জানুয়ারি ইউনাইটেড নিউজে এ নিয়ে “রেগুলেটর বিকল, পানির অভাবে বোরো আবাদে ভোগান্তিতে কৃষক” শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এলে শুরু হয় রেগুলেটর সংস্কার কাজ।

বুধবার সকালে ঘটনাস’লে দিয়ে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড রেগুলেটরের সংস্কার কাজ করছে। এটি মেরামতের খবর পেয়ে আশপাশের কৃষকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেগুলেটর দু’টি ঠিকঠাক হলে ২৮টি গেট দিয়ে পানি রহমতখালী খাল হয়ে বিভিন্ন খালে প্রবেশ করবে। এতে পানি পৌঁছে যাবে কৃষকদের জমিতে, নির্বিঘ্নে করা যাবে বোরো আবাদ।

এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মঙ্গলবার বিকেলে বিকল রেগুলেটর সংস্কার কাজ পরিদর্শনে যান লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ শাহজাহান আলি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলামসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

মজুচৌধুরীরহাটে নেভিগেশন লকসহ ১৪ ভেন্টের দু’টি রেগুলেটরে ২৮টি গেট রয়েছে। মূল রেগুলেটরের ১৪ গেটের মধ্যে দু’টি ছাড়া বাকি ১২টি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিকল হয়ে বন্ধ আছে। পুরনো রেগুলেটরের ১৪টি গেটই বন্ধ। এর মধ্যে তিনটি ভেঙে গেছে। জোয়ারের সময় গেট খুলতে না পারার কারনে রহমতখালী খালে পানি ঢুকতে পারে না। আবার ভাঙ্গা গেট দিয়ে কিছু পানি প্রবেশ করলেও ভাটার টানে ফের নদীতে চলে যায়। এমন পরিসি’তিতে ভরা মৌসুমেও পানির অভাবে জমিতে লাঙল চালাতে পারছিলেন না কৃষকরা।

তবে এখন কাজ করায় রেগুলেটর সচল হলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর উভুতি, কালির চর, ভবানীগঞ্জ, টুমচর, জকসিন, মান্দারী, মিরিকপুর, উত্তর জয়পুর, দত্তপাড়া, কুশাখালী ও তেওয়ারীগঞ্জসহ জেলার পূর্বাঞ্চল এবং কমলনগর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ কৃষকের পানির অভাব দূর হবে। হাসি ফুটবে কৃষকের মুখে।

স্থানীয় সেচ মালিক মনা মিয়া ও জাফর উল্যা বলেন, বোরো আবাদে পানি না পেয়ে আমরা হতাশ ছিলাম। রেগুলেটর মেরামতের খবর পেয়েছি। দ্রুত মেরামত কাজ শেষে হলে পানির অভাব মিটবে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম বলেন, রেগুলেটরের গেট সংস্কারের কাজ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষকরা পর্যাপ্ত পানি পাবে। আশা করি বোরো আবাদে কৃষকদের পানির জন্য সমস্যায় পড়তে হবে না।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here