শিমুল মুস্তাফাআ হ ম ফয়সল :: বর্ণীল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলে বিশিষ্ট আবৃতিশিল্পী শিমুল মুস্তাফার ৭১টি কবিতা আবৃত্তি পরিবেশনা অনুষ্ঠান।

‘আপস করিনি কখনোই আমি, এই হলো ইতিহাস’ শিরোনামে এবারের অনুষ্ঠানটিও আয়োজন করেছে বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমি।  ২০১০ সাল থেকে ডিসেম্বর মাসে রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।

শিমুল মুস্তাফাবৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠান শুরুর সময় বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে সরব হয়ে উঠে রবীন্দ্র সরোবর। এ যেন প্রানের টানে ছুটে আসা। ভরাট গলায় শিমুল মুস্তাফা যখন এক-এক করে আবৃত্তি গুলো করছিলেন, চারেদিকে যেন সুনষান নীরবতা। প্রতিটি কবিতা শেষ হতেই মনোমুগ্ধকর দর্শক-শ্রোতাদের ভালোলাগার প্রকাশ ঘটে মুহু-মুহু করতালীর মধ্য দিয়ে।

কবিতা আবৃত্তি করতে-করতে সন্ধ্যা নামল। দর্শকের হাতে হাতে পৌঁছে গেল ১৯৭১টি মোমবাতি। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জলনের উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। অন্ধকারে মোমবাতি আলোয় আলোকিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে সমস্বরে সবাই গেয়ে উঠলেন ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’।

শিমুল মুস্তাফাঅনুষ্ঠানে কণ্ঠশিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবুর কণ্ঠে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ এবং হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের কণ্ঠে ‘মনে পড়ে রুবি রায় ও কফি হাউস’ গানটির সঙ্গেও আবৃত্তি করেন শিমুল মুস্তাফা। এ ছাড়াও ছিলেন প্রিয়াংকা গোপ।

শিমুল মুস্তাফাঅনুষ্ঠানে ক্ষণে-ক্ষণে মুক্তাকাশে উড়ানো হয় ৭১টি ফানুস।

অনুষ্ঠানে শিমুল মুস্তাফা বলেন, কবিতার মাধ্যমে মানুষের অব্যক্ত ইচ্ছা, আকাঙ্খা, কল্পনা, ইত্যাদি প্রকাশ পায়। মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এ প্রজন্মের তরুণদের উদ্দেশ্যে এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন।

টানা পাঁচ ঘণ্টার এ আয়োজন শুধু আবৃত্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলনা। অনুষ্ঠানে শীতার্ত পথশিশুদের মধ্যে কম্বলও বিতরণ করা হয়।

 

 

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here