এম আর কামাল।
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলের আ’লীগের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সাহিদুজ্জামান শাহিন ওরফে নাডা শাহিনকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সামনে থেকে পুলিশ শাহিনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে। দুর্ধর্ষ এই সন্ত্রাসীর বিরম্নদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা মিঠু হত্যাসহ ফতুল্লা মডেল থানায় এক ডজন মামলা ও জিডি রয়েছে।
সর্বশেষ গত ৪ আগষ্ট সকালে ফতুল্লার গাবতলী মাজারের সামনে থেকে অস্ত্রের মুখে হাফিজুর রহমান বাদল নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে অপহরণের পর আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ উঠে শাহিনের বিরুদ্ধে। সে প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে গাবতলী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। বৃহত্তর গাবতলী এলাকার সাড়ে ৭শ’ বাড়ির মালিকসহ ৫০ হাজার বাসিন্দা শাহিনের কাছে জিম্মি ছিল। তার গ্রেফতারের খবরে গাবতলী এলাকাবাসি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, শাহিনের বিরম্নদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা মিঠু হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।
গত ৪ আগস্ট গাবতলী মাজারের সামনে থেকে মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান বাদল (৬০)কে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় শাহীন। তারপর মারধর করে তাকে কান ধরে উঠবস করায়। এ ঘটনায় চরমভাবে ক্ষুব্দ হয় এলাকাবাসী। কিন্তু ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস করেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাবতলী এলাকার নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের জন্য স্থানীয় বাড়ির মালিকরা গাবতলী সোসাইটি নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। নাডা শাহিন সরকার দলীয় এক এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে জোর পূর্বক ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হন। প্রতিমাসে এলাকার সাড়ে ৭শ’ বাড়ির মালিকের কাছ থেকে এলাকার নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে সাড়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা উঠানো হয়। ওই টাকার হিসাব শাহিন না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করতে থাকে। সম্প্রতি এলাকার বাড়িওয়ালারা এ ব্যাপারে বৈঠক করে শাহিনের কাছে হিসাব চান। গত ৪ আগষ্ট সকালে হাফিজুর রহমান শাহিনকে দেখে সংগঠনের হিসাব দিতে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে কোমর থেকে পিস্তল বের করে সবার সামনে থেকে হাফিজুর রহমানকে রিকশায় তুলে নিয়ে যায়।