বাংলা প্রেস, আলবেনি থেকে :: প্রতি বছরের ন্যায় এবারো নিউ ইয়র্কের রাজধানী আলবেনিতে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ডে ও নবান্নের পিঠা উৎসব। অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি (অবাক)আয়োজিত আলবেনির একটি চার্চের মিলনায়তনে গত রবিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া এ পিঠা উৎসবে পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি শহরের প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী নারী পুরুষের সমাগম ঘটে।
নবান্নের এ পিঠা উৎসবে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশি নারীরা প্রতিযোগিতার জন্য নিজ নিজ বাসা থেকে হরেক রকমের বাহারি পিঠা তৈরি করে প্রদর্শন করেন।পরে নির্ধারিত একটি কমিটির মাধ্যম্যে যাচাইয়ের পর সেরা পিঠা তৈরির জন্য তিনটি পুরুস্কার প্রদান করা হয়। সেরা পুরুস্কার প্রাপ্তরা হলেন পিঠা পুরস্কার: রিমলি (১ম), সাহেদারা হাসান (২য়) এবং বেগম সাহাজাদী (৩য়)।
এছাড়া পিঠা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারীরা হলেন-ফারহানা আক্তার,সাহেরা বেগম,আফরোজা বেগম,সাহেবা বেগম,তাসলিমা সুলতানা,ফাতেমা আক্তার, শামিম আরা নাসরিন,তানিয়া আহমেদ, ফৌজিয়া আক্তার, সাথী বেগম,এলিজা, নিসা খান ও সাফিয়া জিল্লুর। অনুষ্ঠান শুরুর আগে শিশু কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়।
এলিজা রহমান ও আমিরুল মিঠু’র যৌথ সঞ্চালনায় এবং মাজহারুল রিপনের পরিচালনায় ‘বাংলাদেশ ডে’ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অবাক এর চেয়ারম্যান এহতেশাম খন্দকার, প্রেসিডেন্ট মাজহারুল রিপন, প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন মানিক, সাধারন সম্পাদক হাফিজ জে. আলম, বাংলাদেশি আমেরিকান ফাউন্ডেশন অব আলবেনি (বাফা) এর চেয়ারম্যান মুদাসসির হোসেন ও বাফা’র প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির প্রমুখ।এছাড়াও অনুষ্ঠানে বাফা’র অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন।
অবাক এর চেয়ারম্যান এহতেশাম খন্দকার বলেন, আলনেবিতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে। ফলে প্রবাসীদের মাঝে অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি ও দ্বিধাবিভক্তির সৃষ্টি হয়ে থাকে। এটা আমাদের কারোই কাম্য নয়। আমরা সকলেই একত্রিত হয়ে একটি সুন্দর কমিউনিটি বিনির্মাণে কাজ করবো। এজন্য সকলেই অবাককে সহযোগিতা করবেন বলে তিনি আশা করেন।
অবাক এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলা সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে আমরা দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নানা ধরনের দেশীয় কর্মসূচি পালন করে আসছি। প্রবাসে বেড়ে উঠা শিশু কিশোররা আমাদের এসব কর্মাকন্ড থেকে যদি কিছু অর্জন বা শিখতে পারেন তবেই হবে আমাদের সার্থকতা। নতুন প্রজন্মের কথা ভেবে সকল ভেদাভেদ ভুলে আলবেনি প্রবাসী বাংলাদেশিরা অবাক এর কাজে সমর্থন দেবেন আশা করেন তিনি।
অবাক এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাজহারুল রিপন বলেন, দ্বিধাবিভক্ত কমিউনিটি থেকে সমাজের কোন মঙ্গল বয়ে আনবে না, বরং দিনদিন তিক্ততা বাড়বে। তাই আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চাই। এজন্য সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের মধ্যে সঙ্গীত পরিবেশন করেন যথাক্রমে- আব্দুলাহ খান তুষার, হারুন রশিদ, ইব্রাহিম খলিল কাজল, এলিজা রহমান ও তানি রশিদ। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন হাডসন প্রবাসী কবি শরীফুল আলম। নৃত্য পরিবেশন করেন তুলি। পিঠা ও নৈশ্যভোজের মাধ্যমে অতিথিদের আপ্যায়ন করেন অবাক কর্মকর্তাবৃন্দ।