‘সাহেব বিবি গোলাম’-এর পর জিকো এখন ফেমাস। গুড বয় ইমেজ ছেড়ে নতুন এক্সপেরিমেন্ট। মিলেছে সাফল্য। ‘পাওলি ছাড়া বিক্রম কিছু নয়’ নিন্দুকদের এমন কথার উত্তর এখন শুধু ‘জিকো’। কেমন ছিল বিক্রমের এই সফর।
প্রশ্ন: ‘জিকো’-এর প্রশংসা তো এখন চারিদিকে কেমন লাগছে?
বিক্রম: খুবইইই ভাল লাগছে। যেকোনও অভিনেতার কাছে এটা খুব বড় একটা পাওনা, যখন তাঁর কাজের প্রশংসা করা হয়। তবে তার থেকে বড় পাওনা ছবিটা ভালভাবে রিলিজ করেছে। মানুষ হলে দেখতে আসছেন। ছবি দেখে সবাই ফোন করছে। চারিদিকে প্রশংসা হচ্ছে! সব মিলিয়ে ওয়ান্ডারফুল ফিলিংস।
প্রশ্ন: ‘জিকো’র চরিত্রটা কি বিক্রমের কাছে সহজ ছিল?
বিক্রম: না..একদমই নয়। এখনও পর্যন্ত অনস্ক্রিন যে’কটা চরিত্র আমি করেছি, মাস্ট বি সে জিকো সবার থেকে ডিফরেন্ট। ইনফ্যাক্ট আমি বিশ্বাস করি, এখনও পর্যন্ত এটাই আমার সেরা পারফরময়ান্স। যার পুরো ক্রেডিটা যায় প্রতীমদাকে (সাহেব বিবি গোলাম পরিচালক)। আমাকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করার জন্য।
প্রশ্ন: স্বস্তিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ সিনটা করতে অসুবিধা হয়নি?
বিক্রম: একজন অভিনেতা হিসাবে এটা আমার কাজ। সুতরাং অসুবিধার কিছু নেই। তবে শটটি দেওয়ার আগে খুব খুব খুব টেনসড লাগছিল। স্বাস্তিকা’দির সঙ্গে আগে কাজ করলেও, স্ক্রিন শেয়ার তো এই প্রথম। তার ওপর এমন ডিফিকাল্ট সিচুয়েশন। বলতে পারও আমার হাত-পা কাঁপছিল। থ্যাঙ্কস টু স্বস্তিকা দি। আমাকে কনফিডেন্ট দেওয়ার জন্য, যে কাজটা আমি অনায়াসে করতে পারব। এই বিশ্বাসটা কাজ করেছিল আমার মধ্যে। নাহলে হয়ত আটকাতো।
প্রশ্ন: চরিত্রটা তোমার কাছে কতটা চ্যালেঞ্জের ছিল?
বিক্রম: দেখ ফ্রঙ্কলি স্পিকিং, প্রথমবার ছবির স্ক্রিপ্ট পড়ে প্রতীমদাকে না বলে দিয়েছিলাম। একে গ্রে ক্যারেকটার, তার উপর আবার এমন দৃশ্য! পরিষ্কার বলে দিয়েছিলাম, আমায় দিয়ে হবে না। প্রতীম দা ছাড়ল না। বলল এখনই তো সময় এক্সপেরিমেন্ট করার, করবি না”। ব্যাস নিজের গুডবয় ইমেজটার ছেড়ে এখন জিকো।
প্রশ্ন: এমন সাফল্যের সময় কাউকে মিস করছ?
বিক্রম: একেবারেই না! আমার বাবা-মা-বোন সবাই আমার সঙ্গে আছে। কার কি চাই?
প্রশ্ন: এমন ভালও দিনে পওলিকে মনে পড়ছে না?
বিক্রম: পাওলি চ্যাপ্টার ক্লোজ। আমরা এখন একসঙ্গে নেই। তাই এই প্রশ্ন গুলি না করলে আমি খুশি হব। কারণ এই প্রশ্ন গুলির উত্তর আমার কাছে নেই।
প্রশ্ন: পার্সোনালি নয়, প্রফেশনালি বলছি, অভিনয়ের প্রশংসায় তোমাকে অনেকে ফোন করেছে। পাওলি করেনি?
বিক্রম: না করেনি। তাছাড়া কেনই বা আমাকে ফোন করতে যাবে!
প্রশ্ন: তুমি বরাবর বলে এসেছ পাওলি তোমাকে সাহায্য করত…
বিক্রম: সেটা আজও অস্বীকার করছি না। অভিনয় হোক আর ব্যক্তিগত জীবন পাওলি আমাকে ত্রত সাহায্য করেছে বলে বোঝাতে পারব না। কিন্তু পরিস্থিতিটা এখন বদলে গিয়েছে। তাই এই প্রশ্নগুলি না করলে খুশি হব।
প্রশ্ন: একদমই..পুরনো প্রসঙ্গে ফিরি। নতুন প্রজন্মের কাছে জিকোর একটা ক্রেজ তৈরি হয়েছে। কিন্তু তরুন প্রজন্ম সিরিয়ালটা তেমন পছন্দ করে না। ট্রাক চেঞ্জ করার কথা ভাবছ?
বিক্রম: দেখ, ছোটপর্দার আমার জীবনে অবদার প্রচুর। শুরুটা করেছিলাম ‘সাতপাকে বাঁধা’ দিয়ে। বলতে অসুবিধা নেই, সিনেমা করে যে ভালবাসা আমি পেয়েছি তার থেকে অনেক অনেক বেশি ভালবাসা পেয়েছি সিরিয়াল করে। তাছাড়া এমন কোনও বাধ্যতা নেই সবার একটা কাজ ভাল লাগতে হবে। কিন্তু একটা কথা বলব, বাংলা সিনেমার থেকে এখন সিরিয়াল গুলির বেশির ক্রেজ। সমাজের একটা বড় অংশ এখনও এটাকে ভালবাসে।
প্রশ্ন: এমন কোনও স্বপ্নের চরিত্র আছে যেটা করত চাও…
বিক্রম: অনেক অনেক। যেহেতু আমি একজন অভিনেতা আর অভিনয়টা করতে চাই তাই স্বপ্নের চরিত্রের আমার শেষ নেই। কিন্ত এই চরিত্র গুলো শুধু যে বাংলার তেমনটা তো নয়। তবে এখন স্পোর্সম্যানের বায়োপিকে অভিনয় করার খুব স্বপ্ন। সেটা সুশান্তের চরিত্রটাও হতে পারে আবার ফারহানেরও।
প্রশ্ন: আচ্ছা ‘দশ টাকার নোট’-এর কি হল?
বিক্রম: দুঃখজনক ভাবে মাঝপথে প্রডিউসার সেটা শেষ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। আমি আর অন্যনা ছিলাম। ছবির হাফ কাজ হয়ে গিয়েছিল….
প্রশ্ন: নক্সট কিসে দেখতে পাচ্ছি…
বিক্রম: হুমম ‘খোঁজ’। থ্রিলার বেস সিনেমা। পরিচালক অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ের সিনেমা। তোমাকে জানিয়ে রাখি ছবিটি ইন্টারন্যাশেনাল ফিল্ম ফেস্টিভলে পাঠানো হয়েছে।সূত্র: কলকাতা২৪