যশোর: ‘মামাতো ভাইয়ের মাধ্যমেই ভুল পথের যাত্রা শুরু হয়। ভুল বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ বলছিলেন হিযবুত তাহরীরের সদস্য ফখরুল আলম। যশোরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে তিনি এসব কথা বলেন।স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
রবিবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মনির-উজ-জামানের উপস্থিতিতে হিযবুত তাহরীরের সাবাব সদস্য (প্রাথমিক) তুষার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি যশোর শহরের আরবপুর এলাকার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। তুষার যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করেছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জঙ্গি হামলার ঘটনায় হিযবুত তাহরীরের নামও আসছে।
আত্মসমর্পণ উপলক্ষে পুলিশ সুপার আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ফখরুল ইসলাম তুষার বলেন, দুই বছর আগে শহরের ধর্মতলা এলাকার চায়ের দোকানে আড্ডায় হিযবুত তাহরীরের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এই পরিচয় ঘটিয়ে দেন তাঁর মামাতো ভাই রায়হান আহমেদ, যিনি ১০ দিন আগে ১১ আগস্ট পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
তুষার বলেন, পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর থেকে চায়ের দোকানের আড্ডায় দু-তিনজন হিযবুত তাহরীর সদস্য ধর্মীয় নানা বিষয় সম্পর্কে তাঁদের ভাবনার কথা বলতেন। ধর্মীয় সাধারণ বিষয়বস্তু নিয়ে কিছুদিন আলোচনার পর ইসলামী আইন-কানুন সম্পর্কে তাঁদের মতো করে ব্যাখ্যা শুরু করেন।
তুষার বলেন, ‘তারা যখন এসব বিষয় বলতে শুরু করল, তখন আমি বুঝতে পারি তারা কোনো জঙ্গি দলের সদস্য। আমাকে ভুল বুঝিয়ে ভুল পথে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের সঙ্গে থেকে তাদের সদস্য হওয়ার ভুল বুঝতে পেরে আমি আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি মনির-উজ-জামান বলেন, ভুল বুঝতে পেরে তুষার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় তাদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ও নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম।