এই শরতে আমি মরে যেতে চাই, তুমি বাহু পেতে দাও;
এই স্বর্ণাভ পত্রগুচ্ছ, আরো সোনালি হয়ে ঝরে পড়ার আগেই
পেতে দাও তোমার বাহু, আমি ঘুমের ভেতর
তোমার বুকের মধ্যে ডুবে যাবো অতল নিদ্রায়।
গান ও প্রজাপতি
বিষণ্ণ গানের সুর থেকে জন্ম নেয়া একটি প্রজাপতি
উড়ে এসে বসলো দেয়ালে বাঁধাই করা ছবিতে লেগে থাকা হাসির উপর।
হাসির মধ্যে বসে আছে প্রজাপতি, অথবা হাসি থেকে উড়ে আসছে প্রজাপতি—
এই দৃশ্য কবিতার মত মনে হয়; মনে হয়, এ জীবন কেবলি: মধু! মধু!
কিন্তু প্রজাপতি এইখানে এক বিষণ্ণ গানের কলি,
রুপকথার ফুল ও পাখির মত বিষণ্ণ গান-ও এখানে সক্রিয় চরিত্র এক,
প্রজাপতির আদলে সে আমাদের জীবনব্যাপী ওড়ে;
উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে ফিরে ফিরে আসে আক্ষেপে, বেদনায়।
তবে, যারা গান শোনে নি, কেবল দৃশ্য দেখেছে— দেখেছে যে,
যুগলের হাসির মধ্যে বসেছে এক রঙীন প্রজাপতি— তাদের জন্য এ দৃশ্যই সত্য হোক;
এ দৃশ্য থেকেই তারা কল্পনা করুক আরেকটি নতুন গান, সে গানে উছলে উঠুক প্রেম,
সেখানে জীবন হোক কেবলি: মধু মধু! বিষণ্ণ গানের গল্প তাদের শুনিয়ো না কেউ।
নৈঃশব্দ
আমরা বয়ে গেছি অভিমানে, রয়ে গেছি না-জিজ্ঞাসায়।
বহু বহু বছর বয়ে গেলে পরে পুরনো ছবির দিকে চেয়ে
আজ এই কথা মনে হয়। মনে হয়, এর চেয়ে জিজ্ঞাসা ভালো,
তোলপাড় ভালো, ভালো খুব ঝড়ের তাণ্ডব।
এই সন্ধ্যার দ্বীপে যখন আছড়ে পড়ছে সাগর,
মুর্হূমুর্হূ ভেঙে পড়ছে ঢেউ, তখন মনে হয়,
তোলপাড় ভালো, কোলাহল ভালো, তবু প্রেম বেঁচে থাকে।