সঙ্গীত ভুলিয়ে দেশ, কাল আর সময়ের ভেদাভেদ। আর বারবার ইতিহাস সাক্ষী থেকেছে সঙ্গীতের এই অপার মাধুর্যের। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতায় বাংলাদেশ উৎসবে এসে বাংলাদেশের ব্যান্ড মাস্টার তথা গীতিকার, সুরকার এবং গিটার বাদক আয়ুব বাচ্চু আরও একবার কলকাতার মানুষকে মাতিয়ে দিয়ে গেলেন নিজের গানে, কথায়, আর গিটারের সুরে।
তার সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে এলো বতর্মান প্রজন্মের সঙ্গীত সম্পর্কে তার ভাবনা চিন্তা। কিন্তু ক্ষোভও জানালেন সিডির পাইরেসির রমরমা কীভাবে ধ্বংস করছে শিল্পকে। আর তাই নতুন অ্যালবাম তৈরি থাকলেও সিডি’র আকারে প্রকাশ করতে রাজি নন বাংলাদেশের এই সঙ্গীতকার। বরাবর নিজেকে “এব” বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। ভালোবাসেন ভারতে অনুষ্ঠান করতে। ভালোবাসেন নতুন চিন্তা ভাবনায় রক মিউজিককে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে। এখানে তারই কথার কিছু টুকরো টুকরো মুহূর্ত।
প্রশ্ন: ভারতে এর আগে বহুবার অনুষ্ঠান করেছেন এবার কেমন লাগল?
আয়ুব বাচ্চু: ভারতে অনুষ্ঠান করতে বরাবরই ভালো লাগে। ভারতের মানুষ সমঝদার। সঙ্গীত বোঝেন, খুবই ‘লাভিং’।
প্রশ্ন: নতুন অ্যালবাম নিয়ে কী ভাবনা চিন্তা ?
আয়ুব বাচ্চু: নতুন গান তৈরি। কিন্তু সিডি হিসেবে প্রকাশ করব না। যতদিন সরকার এবং মানুষ পাইরেসি সিডি নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বা সচেতন হচ্ছেন না, ততদিন গানের সিডি প্রকাশ করব না। গানকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে অন্য মাধ্যমের সাহায্য নেব।
প্রশ্ন: কোন genre নিয়ে এই মুহূর্তে আগ্রহী ?
আয়ুব বাচ্চু:: শুধুই রক। এবং অতি অবশ্যই হার্ড রক।
প্রশ্ন: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কাদের গান শুনতে ভালোবাসেন ?
আয়ুব বাচ্চু:: লক্ষীছাড়া, ফসিলস্, চন্দ্রবিন্দু। ভূমির গানও ভালো লাগে।
প্রশ্ন: প্রিয় গায়ক ?
আয়ুব বাচ্চু: শুধুই নচিদা। (নচিকেতা চক্রবর্তী)। দু-তিন জন হলে সুমনদা (কবীর সুমন), অঞ্জনদা আর রূপম ইসলাম।
প্রশ্ন: নতুন প্রজন্মের ব্যান্ড সম্পর্কে কী মতামত ?
আয়ুব বাচ্চু: খোলা মন নিয়ে কাজ করতে হবে। লিমিটেড চিন্তা শক্তি। আরো বড় করে চিন্তা করতে হবে। যে কাজই করুক খোলা মনে চিন্তা করতে হবে। আর যদি কেউ ভাবে হয়ে গেছে তাহলেই শেষ। শেষ বলে কিছু হয় না। “ইট’স আ জার্নি।”
প্রশ্ন: ভারতে যদি লাইভ অনুষ্ঠান করতে চান কাকে কাকে সঙ্গে চাইবেন ?
আয়ুব বাচ্চু: ড্রামসে শিবমণি বা নন্দন বাগচী, গিটারে অমিত দত্ত, ভোকালে অঞ্জন দত্ত, বেস গিটারে লু হিলস্।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/বিনোদন ডেস্ক নিউজ