আদার উপকারীতাতাহমিনা শিল্পী :: এসে গেছে শীত। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধি। কথিত আছে ঠান্ডাজনিত রোগের নিরাময়ে আদা নাকি মহাঔষধ। তাই আদা সম্পর্কে কিছু তথ্য ও কিছু ঘরোয়া টিপস সকলেরই জেনে রাখা ভাল।

আদার আরবী নাম ঘঞ্জাবলি এবং সংস্কৃত নাম অর্দ্রক। ইহা একটি উদ্ভিদ মূল যা মশলা জাতীয় খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

জাতীয় ফসলের মধ্যে আদা অন্যতম। আদা খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরীতে, আচার, ঔষধ ও সুগন্ধি তৈরীতে ব্যবহার করা হয়।

এটি ভেষজ ঔষধ। অন্যান্য অর্থকরী ফসলের চেয়ে আদা চাষ করা লাভজনক।

বাংলাদেশের টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও পার্বত্য জেলাগুলোতে ব্যাপকভাবে আদা চাষ হয়ে থাকে।

আদা বীজ রোপণের প্রায় ৭-৮ মাস পর ফসল পরিপক্ব হয়। আদা এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মে মাস পর্যন্ত রোপণ করা হয়।

সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে আদা উত্তোলন করা হয়।

আদায় আমিষ ২.৩%, শ্বেতসার ১২.৩% , আঁশ ২.৪% , খনিজ পদার্থ ১.২% ও পানি ৮০.৮% ইত্যাদি উপাদান বিদ্যমান।

“আদা সব ঔষধের দাদা”; সকালে খেলে নুন আদা, সর্দি কাশি হবে না দাদা”। এই প্রবাদ বাক্যগুলো কতটা বাস্তবধর্মী অনুমান করা সম্ভব নয়। এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক বিভিন্ন রোগে আদার ব্যবহার। আদা দৃষ্টি শক্তিকে স্বচ্ছ করে।

বদ হজমের জন্য পেট ব্যাথা হলে তরতাজা আদা অল্প লঙ্কাসহ খেলে খুব তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়।  খাদ্য গ্রহনের আগে আদা চিবিয়ে খেলে মুখে রুচি হয়, ক্ষুধা বৃদ্ধি হয়। আদায় অজীর্ন ভাল হয়। সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে চায়ের সাথে আদা খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

সামান্য গরম অবস্থায় শুকনো আদা খেলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকধড়ফড়ানি ও মাথা ব্যাথার উপশম হয়। দাঁত ব্যাথা, টনসিলের ব্যাথা ও স্বরভঙ্গে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। পুরানো আমাশয় রোগের জন্য শুকনো আদা গরম পানির সাথে মিশিয়ে কিছুদিন খেতে হয়।

শরীরের কোন স্থানে কেঁটে গেলে শুকনো আদার গুড়া লাগাতে হয়। তাহলে রক্তপরা বন্ধ হয় এবং কাঁটা স্থান দ্রুত জোড়া লাগে। মাথা ব্যাথা হলে আদা বেটে গরম পানির সাথে কপালে লাগাতে হয়।

 

tahmina_shilpi@yahoo.com

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here