জাহিদ আবেদীন বাবু।

কেশবপুর: যশোরের কেশবপুরের মাওঃ আতাউর রহমান হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে আটক ঘের মালিক আব্দুর রাজ্জাককে বাঁচাতে একটি মহল বিভিন্ন সরকারি দফতরে ও এক শ্রেনীর পত্র পত্রিকায় বিভ্রান্তি মুলক সংবাদ প্রকাশ করে তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে চলেছে বলে অভেযোগ উঠেছে।

courtএদিকে গত ৫ নভেম্বর ম্যাজিষ্ট্রেট বুলবুল আহম্মেদের আদালতে আটক রাজ্জাক সরদারের প্রতিবেশি আব্দুল আহাদ ঘটনার সবিস্তার স্বীকার করে স্বাক্ষ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই ফকির ফেরদৌস হোসেন। ইতোমধ্যে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দরজার হাক জব্দ করা হয়েছে।

উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের মনোহরনগর গ্রামের বাবুর আলী সরদারের ছেলে মাওলানা আতাউর রহমান (৩৫) এর লাশ গত ৩ অক্টোবর বিকেল ৪ টায় পার্শ্ববর্তী চৌকাথার কুড়ের ভিতরের মনোহর নগর বিলের একই গ্রামের মৃত মানিক সরদারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক সরদারের মাছের ঘের থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সোহরাব হোসেন সিন্টু বাদি হয়ে অজ্ঞাত নামা আসাসামিদের নামে কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে, যার নং-৪।

এলাকাবাসির ব্যাপক গুঞ্জণের সুত্র ধরে পুলিশ  ন্দেহজনক ভাবে ঘের মালিক আব্দুর রাজ্জাক সরদার (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত নওয়াব আরী সরদারের ছেলে হাফিজুর রহমানকে (৪৫) আটক করে এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে জন্যে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পাশাপাশি পুলিশ আটক দু জনকে ৭ দিনের রিম্যান্ডের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের রিম্যান্ড মঞ্জুর করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে আনা হলেও আব্দুর রাজ্জাক জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে আতাউরের মৃত্যুর কারণ আঘাত জনিত উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন সিভিল সার্জন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মামলায় আটক আব্দুর রাজ্জাক সরদারের প্রতিবেশি আব্দুল সরদারের ছেলে আব্দুল আহাদকে পাঁজিয়া বাজার থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

গত ৫ নভেম্বর আব্দুল আহাদ ম্যাজিষ্ট্রেট বুলবূর আহম্মেদ এর আদালতে স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষ্য প্রদান করে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ফকির ফেরদৌস হোসেন  সাংবাদিকদের জানান, মামলায় যাদেরকে আটক করা হয়েছে তারাসহ আরও কয়েকজন জড়িত থাকবার বিষয় জানা গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে এ টুকু বলতে পারি মামলার যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। অচিরেই হত্যাকান্ডের সাথে বাকি জড়িতদের আটক করা সম্ভব হবে।

এদিকে নিহত আতাউরের পিতা ও মাতার বরাত দিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় আটক রাজ্জাককে নির্দোষ প্রমানে অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী সোহরাব হোসেন সিন্টু। তিনি জানান, প্রথমাবস্থায় ভাই খুন হওয়ায় মানষিক অস্থিরতা থাকায় অজ্ঞতনামা আসামি হিসেবে মামলা করি।

পুলিশের তদন্তে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। সিন্টু ভাই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সহিদুল ইসলাম সহিদ জানান, আটক রাজ্জাক সরদার অত্যান্ত ধুরন্ধর। খুব শিঘ্র হত্যাকারি সনাক্ত করা সম্ভব হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here