স্টাফ রিপোর্টার :: গল্পের জাদুকর তিনি। এই গল্প দিয়েই তিনি মানুষের মনকে নানাভাবে আলোড়িত করেছেন। মিসির আলী ও হিমুর লজিক-এন্টি লজিক, মধ্যবিত্তের সুখ-দুঃখ; তার গল্প থেকে বাদ পড়েনি মুক্তিযুদ্ধ কিংবা ইতিহাসের বাদশা নামদাররা।

আর এতেই তিনি পেয়েছেন জনমানুষের উপচে পড়া ভালবাসা। তিনি হুমায়ূন আহমেদ; আজ তার ৭০তম জন্মদিন।

কেউ বলে দেয়নি ভালবাসতে, চাপিয়েও দেয়নি কেউ ভালবাসার ভার। হুমায়ূন শুধু গল্পের ঝুড়ি খুলে বসেছিলেন, গল্পে গল্পে জীবনের কথা বলেছেন, আনন্দ-বিষাদে ভাসিয়েছেন। এতেই তিনি অনিবার্য প্রসঙ্গ হয়ে উঠেছেন বাঙালির পাঠকের কাছে।

তিনি বেখেয়ালি, আবার দারুণ খেয়ালি বাঙালি মধ্যবিত্তের মুগ্ধতাকে, আনন্দ অশ্রুকে নতুন রুপ দিয়েছেন। অনাবিস্কৃত বা অকথিত জীবনের সাথে পরিচয় করিয়েছেন।

বিষয়ের বৈচিত্র্য, চরিত্র নির্মাণ, সংলাপ সব মিলিয়ে এ এক অভিনব ধারা। যেন হুমায়ূনীয় শৈলী। এই সম্মোহনী শক্তি নিয়ে, হুমায়ূন আলো ফেলেছেন মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনার ওপর। এই আলোতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠকের কাছে হয়েছে আরো স্পষ্ট ও দ্বিধাহীন।

হুমায়ূন আহমেদের বই আয়নার মত। মধ্যবিত্ত পাঠক এখানে যেন নিজেকেই দেখতে পান। তাই সময় এগিয়ে যায়, মানুষের জীবন ভাবনায় আসে কতশত পরিবর্তন। তবুও হুমায়ূন সাহিত্যের মুগ্ধতা যেন পাঠকের কাটেই না।

কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, ‘পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যে যে চিরায়ত রসায়নটা আছে তিনি সবসময় ওইটা ব্যবহার করেছেন। যেখানে তিনি গভীর জটিলতা এগিয়ে গেছেন বলে মনে হয় সেখানে তিনি মানবিকতার চিরন্তন মূল্যবোধগুলোকে পুঁজি করেছেন। যেটা তাকে অনেক দিন টিকিয়ে রাখবে।’

বৃষ্টিধারা যেমনি ভূমিতলের অন্তরে প্রবেশ করে বহু প্রাণের সঞ্চার করে, হুমায়ুন সাহিত্য তেমনি, পাঠককে সঞ্চারিত করে অন্য সাহিত্যের দিকেও।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here