আইনজীবী চন্দন সরকারসহ নারায়নগঞ্জের সাতখুন মামলায় ফাঁসির সাজা থেকে খালাস চেয়ে আজই আপিল করবেন প্রধান আসামি নূরহোসেন ও তার গাড়ির ড্রাইভার। আপিলের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। আইনজীবী অ্যাডভোকেট লুৎফর হোসেন আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নারায়নগঞ্জের সাতখুন নিয়ে দুটি মামলার রায় হয়েছে। ১২০০ পৃষ্ঠার রায় দিয়েছেন আদালত। এগুলো ভালো করে পড়ে আমরা একটি আবেদন তৈরী করেছি। আজ আপিল ফাইল করবো।

তিনি বলেন, সাতখুনের ঘটনায় নুর হোসেন সরাসড়ি জড়িত এমন কোনো তথ্য প্রমাণ প্রসিকিউশন দেখাতে পারেননি। অপহরণ, খুন বা লাশগুমের সাথে আমাদের মক্কেলরা জড়িত সেটি কেউ প্রমাণ করতে পারেনি।

আমাদের মক্কেল নূরহোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবাবনবন্দিও দেননি। ঘটনার সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, এ জন্য আমরা বিচারিক আদালতের রায়েল প্রতি ক্ষুব্ধ। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আজই আপিল করবো। আমরা আশা করছি আপিলের রায়ে নূরহোসেন ও তার গাড়ি চালক খালাস পাবেন।

গত ২২ জানুয়ারি আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতখুন মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে ২৬জনকে ফাঁসি ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত। নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জনের এবং পরদিন প্রায় একই স্থান থেকে আরেকজনের লাশ পাওয়া যায়।

নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম সে সময় অভিযোগ করেন, র‌্যাবকে ছয় কোটি টাকা দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে র‌্যাবের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও আর্থিক লেনদেনের সত্যতা মেলে। হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন এবং র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। দু’টি মামলায় ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিলেও সে সময় অধরা ছিল নূর হোসেনসহ ১৩ আসামি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here