আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যাপক ওয়ালিউল্যাহ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ স্টাফ রিপোর্টার :: নোয়াখালীর হাতিয়ায় আজ বুুধবার সদস্য সদস্য আয়েশা আলী ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যাপক ওয়ালিউল্যাহ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১১জন গুলিবিদ্ধসহ প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ কর্মী রিয়াজ উদ্দিন হত্যা মামলায় বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েশা আলীর স্বামী সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীকে আসামী করা হলে সকালে আয়েশা আলীর বাসভবনে এক প্রতিবাদ সভার ডাক দেয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তার নিজস্ব ক্যাডারদের একত্রিত করা হয় বলে জানা গেছে।

এই খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আয়েশা আলীর বাসভবন থেকে ৮০০ গজ দূরে আওয়ামীলীগ নেতা ও শিল্পপতি মাহমুদ আলী রাতুলের বাসায় অবস্থান নেয়। বেলা ১১টার দিকে এমপি সমর্থক কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতা কর্মী রাতুলের বাসভবন লক্ষ্য করে ইট পাটখেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ বাধা দেয়।

ইট পাটখেলের ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে রাতুলের বাসা থেকে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা বেরোতে চাইলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুরোধে মাহমুদ আলী রাতুল নিজে উপস্থিত থেকে নেতাকর্মীদের নিজ বাসভবনে ঢুকিয়ে মূল ফটক তালাবদ্ধ করে দেন।

দুপর ১২টার দিকে সাংসদ আয়েশা আলীর নেতৃত্বে তার বাসভবন থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাতুলের বাসার দিকে এগুতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসপি সার্কেল সাংসদ আয়েশা আলীকে মিছিল না করার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ অমান্য করে মিছিল নিয়ে এগুতে থাকেন। মিছিলটি বেশ কিছুদুর যাওয়ার পর এসপি সার্কেল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাংসদ আয়েশা আলীকে মিছিলটি ফেরত নেয়ার বিশেষ অনুরোধ জানান।

এক পর্যায়ে সাংসদ আয়েশা আলী নিজে পিছিয়ে গেলেও তার সমর্থকরা মিছিল নিয়ে রাতুলের বাড়ীতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষণ করে এবং ব্যাপক ভাংচুর করে। এতে নাজিম উদ্দিন (৩২), ভুট্টো (২৯), রাশেদ (২৮), হাসান (২৯) সহ ১১জন গুলিবিদ্ধ হয়। এই ৪জনকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে নাজিম উদ্দিন ও ভুট্টোর অবস্থা আশংকাজনক।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, সাংসদ আয়েশা আলীর মিছিল থেকেই মাহমুদ আলী রাতুলের বাসায় হামলা হয়েছে। আমরা বারবার নিষেধ করার পরও এমপি মিছিল থেকে নিবৃত্ত হননি।

সন্ধ্যায় রিপোর্ট লেখার সময় হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশ টহল অব্যাহত আছে।

আওয়ামীলীগ নেতা ও শিল্পপতি মাহমুদ আলী রাতুল বলেন, খুন হয়েছে রিয়াজ উদ্দিন মামলা করেছে তার পরিবার। এতে আমাদের অপরাধ কি। আমরা হাতিয়া এসেছি জাতির জনকের হাতে গড়া দল আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে। আমার বাসায় কেন বা কিসের জন্য হামলা হয়েছে তা আমি বুঝে উঠতে পারলাম না। আমি এর বিচার হাতিয়াবাসীর কাছে চাইবো।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here