ষ্টাফ রিপোর্টার :: আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এই প্রথম বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে জায়গা পেল বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার।
ভারতের বিপক্ষে অভিষেক সিরিজে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট পাওয়া মুস্তাফিজ নয় ওয়ানডে খেলে ২৬ উইকেট নিয়েছেন। এরই মধ্যে তিনবার নেওয়া হয়ে গিয়েছে পাঁচ উইকেট।
এর আগে সাকিব আল হাসান ২০০৯ সালের আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট দলে জায়গা পেয়েছিলেন। মুস্তাফিজের দলে জায়গা পাওয়াটাকে গত ১৮ মাসে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নতির একটি সূচক বলেই মনে করছে আইসিসি।
গত এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছেন মুস্তাফিজ। তবে বিশ্ব ক্রিকেটে হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি ওয়ানডে দিয়েই। জুনে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকেই নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। পরের ম্যাচে নিজেকেও ছাড়িয়ে গিয়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। ক্যারিয়ারের প্রথম ২ ওয়ানডেতেই ১১ উইকেট নেই ওয়ানডে ইতিহাসে আর কারও।
বর্ষসেরা একাদশ নির্বাচন করেছে আইসিসির একটি নির্বাচক দল। যেটির প্রধান ছিলেন ভারতের স্পিন কিংবদন্তি ও আইসিসি ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলে। নির্বাচকদের বাকিরা ছিলেন সাবেক ক্যারিবিয়ান ফাস্ট বোলার ও ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ, সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান মার্ক বুচার, অস্ট্রেলিয়ার নারী দলের সাবেক অধিনায়ক বেলিন্ডা ক্লার্ক্ ও ভারতের ক্রীড়া সাংবাদিক, দা হিন্দু ও স্পোর্টস্টারের ডেপুটি এডিটর জি. বিশ্বনাথ।
বর্ষসেরা ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মনোনীত হয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। গত পাঁচ বছরের মধ্যে চারবারই বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে জায়গা পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিং-বিস্ময়, তবে নেতৃত্ব পেলেন এই প্রথম।
চতুর্থবারের মত ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন অবসরে যাওয়া কুমার সাঙ্গাকারা ও তার স্বদেশি তিলকরত্নে দিলশান। দ্বিতীয়বার জায়গা পেয়েছেন হাশিম আমলা।
মুস্তাফিজের মতোই প্রথমবার জায়গা পেয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট, রস টেইলর ও অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মিচেল স্টার্ক।
বর্ষসেরা একাদশে পেসার চারজন, তিনজনই বাঁহাতি। মুস্তাফিজের সঙ্গী এখানে মিচেল স্টার্ক, বোল্ট ও ভারতর মোহাম্মদ সামি। একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার ইমরান তাহির।