ষ্টাফ রিপোর্টার :: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করতে আইনি প্রক্রিয়ার কথা ভুলে যান।
এখন তার মুক্তির একমাত্র পথ হলো রাজপথ। আন্দোলনের মাধ্যমেই কেবল তার মুক্তি সম্ভব। আর এ জন্য নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে। এর জন্য আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আগামী দিনের কর্মসূচির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পৃক্ত। এই কর্মসূচিতে ভোটাধিকার ফিরিয়ে পাওয়া প্রশ্ন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে পাওয়ার অধিকার এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার প্রশ্ন জড়িত।
এজন্য বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে এগিয়ে যেতে হবে। এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে। এর বাইরে বাংলাদেশের মানুষের কাছে অন্য কোনও পথ নাই। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আন্দোলনকে সফল করতে হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, নিম্ন আদালতকে সরকার রাজনৈতিক প্রভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে। এ কারণে সাত মাস হয়ে গেল, কিন্তু খালেদা জিয়া মুক্ত হতে পরেননি। আমাদের আইনজীবীরা এমন কোনো আইনি প্রক্রিয়া নেই যা অনুসরণ করিনি। কিন্তু এরপরও সরকার ও নিম্ন আদালতের সঙ্গে আমরা জয়লাভ করতে পারিনি। কারণ, সরকার চায় না খালেদা জিয়া মুক্ত হোক।
তিনি বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী (মূল সংবিধানে যেটা ছিল) নিম্ন আদালত, বিচারকদের পদোন্নতি, নিয়োগ, বদলি এবং তাদের শৃঙ্খলা সুপ্রিম কোর্টের কাছে থাকবে।
কিন্তু এখন সেটা পরিবর্তন করে রাষ্ট্রপতি ও আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়া হয়েছে, যার ফলে নিম্ন আদালতের ওপরে সুপ্রিম কোর্টের এখন কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। সরকারের রাজনৈতিক প্রভাবে এখন নিম্ন আদালতে কাজ চলছে।
সরকার কেন খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় না- এর কারণ হিসেবে মওদুদ বলেন, খালেদা জিয়া মুক্ত হলে বাংলাদেশে যে গণজোয়ার আসবে, সেটা তারা (সরকার) ঠেকাতে পারবে না। সে কারণেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হয় নাই। সুতরাং এখন আইনি প্রক্রিয়ার কথা কিছুটা ভুলে যেতে হবে, এখন রাজপথেই এর মোকাবিলা করে তার মুক্তি অর্জন করতে হবে।
মোসলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক রেয়াজুল ইসলাম রিজু, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, ডিইএবির উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here