সায়ান তানভি :: ১৯৭০ দশকের তুমুল জনপ্রিয় “পাকিজা” সিনেমার অভিনেত্রী গীতা কাপুরকে হাসপাতালে ফেলে পালানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর ছেলে রাজার বিরুদ্ধে।
খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও চলচ্চিত্রাঙ্গনে সমালোচনার ঝড় উঠে। অভিনেত্রী গীতা কাপুর একজন কোরিওগ্রাফার হিসেবেও কাজ করেছেন।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রক্তচাপ কমে যাওয়ায় মুম্বাইয়ের এসআরভি হাসপাতালে গীতাকে নিয়ে আসে তার ছেলে। সে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার কথা বলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যায়, কিন্তু পরে আর ফিরে আসে নি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর চিকিৎসা চালিয়ে যায় মানবিক কারনে। পরে কর্তৃপক্ষ ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে গীতার ছেলে রাজা ফোন ধরেননি এবং মেয়ে পূজা “ভুল নাম্বার” বলে ফোন কেটে দেন।
গীতা গণমাধ্যমকে বলেন, ছেলে রাজা তার উপর প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন চালাতো, মারধোর করতো এবং ঘরে তালাবন্ধ করে আটকে রাখতো। গীতাকে খাবার দেওয়া হতো চারদিনে একবার।
বৃদ্ধাশ্রমে যেতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে এমন অত্যাচার করা হতো বলে জানান তিনি। শারীরিক মানসিক নির্যাতনের কারনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
এককালের বলিউড অভিনেত্রীর এমন করুন অবস্থার খবর শুনে ভারতের চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য অশোক পণ্ডিত হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে দিয়েছেন।
এদিকে, পুলিশ গীতার পরিবারের সদস্যদের খুঁজতে বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে। জানা গেছে ছেলে রাজা ইতোমধ্যেই বাড়ি বদল করেছে।