কলকাতা : অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের চিহ্নিত করতে ‘ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) বা জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ প্রক্রিয়া চালু করতে চলেছে মোদি সরকার। ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে সরকারের ভূমিকা কি?’ এই প্রশ্নের উত্তরে মঙ্গলবার লোকসভার বাজেট অধিবেশনে রাজনাথ সিং বলেন ‘এনপিআর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রকৃত ভারতীয়দের খুঁজে বের করে তাঁদের হাতে জাতীয় সচিত্র পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হবে’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ‘কে প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক এবং কে অনুপ্রবেশকারী তা আমাদের শনাক্তকরণ করতে হবে। প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের শনাক্তকরণে আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি’।
তিনি আরও বলেন ‘সমপ্রতি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রসচিব অনিল গোস্বামী, কেন্দ্রের অতিরিক্ত স্বরাষ্ট্র সচিব শম্ভু সিং, জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ প্রধান ভি.চন্দ্রমৌলী সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে। সেই বৈঠকেই এই প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে’। তিনি আরও জানান ‘অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সহ একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে’। যদিও বিভিন্ন সমস্যার কারণে এখনও অনেকটা অংশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজে কিছুটা বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলেও জানান রাজনাথ সিং।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয় সূত্রে খবর আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে এনপিআর তৈরির কাজ শুরু করা হবে। মন্ত্রকের নির্দেশ, জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ নথিভুক্ত করার জন্য দুই বছরের সময় দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০১৬ সালের ভিতরেই প্রক্রিয়াটি শেষ করতে হবে। সরকার চায় দেশের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে আধিকারিকরা বাছাই করে দেখুন। সেই বাছাইয়ের ভিত্তিতেই প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের এনপিআর কার্ড দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে লোকসভার ভোট প্রচারে এসেও অবৈধ অনুপ্রবেশ ইস্যুকে প্রচারের হাতিয়ার করে সোরগোল ফেলে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের চিহ্নিতকরণ করে তাদের সেদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মোদি।