ইন্টারন্যাশনাল নিউজ ডেস্ক: মাত্র ৮৫ জন ব্যক্তির দখলে আছে পৃথিবীর মোট সম্পদের প্রায় অর্ধেক। শুধু তাই না, গণতন্ত্রকে খাটো করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশে আইনকে ব্যবহার করছে বিশ্বের এই অভিজাত শ্রেণী। একই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে বৈষম্যও সৃষ্টি করছেন তারা। সোমবার বৃটেনভিত্তিক দাতা সংস্থা অক্সফাম এ খবর জানিয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্বের শক্তিধর ব্যক্তিদের বার্ষিক বৈঠকে এ কথা জানায় অক্সফাম।
অক্সফাম তার গবেষণায় জানায়, এই ৮৫ ব্যক্তির হাতেই রয়েছে পৃথিবীর মোট সম্পদের ৪৬ শতাংশ। অর্থ্যাৎ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের হাতে যে সম্পদ রয়েছে তার সমান অর্থ রয়েছে এই ৮৫ ব্যক্তির হাতে।
‘ওয়ার্কিং ফর দ্যা ফো’ নামক গবেষণাপত্রে অক্সফাম জানায়, পৃথিবীর ৩৫০ কোটি মানুষ যে সম্পদের মালিক তার সমান মালিক এই ৮৫ ব্যক্তি।
এছাড়াও ধনী ও গরিবের মাঝে ব্যবধান বাড়ছে বলে জানানো হয় গবেষণায়। ১৯৮০’র দশক থেকে এই অর্থের ব্যবধান বাড়তে থাকে। মধ্যবিত্ত শ্রেণী ও গরিব শ্রেণীর ভোগের মনোভাবের কারণেই ধনিক শ্রেণী সম্পদের এই পাহাড় জমাতে পেরেছে বলেও গবেষণা থেকে দাবি করা হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈষম্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও তার দ্বিতীয় মেয়াদে ধনী-গরিবের বৈষম্য কমানোর বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
চীনের নতুন সরকারও অভিজাত শ্রেণীকে দেয়া রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দিয়েছে। জার্মানিরাও বৈষম্য কমাতে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করতে যাচ্ছে।