স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমস্টাফ রিপোর্টার :: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে নিম্নমানের এবং নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রয়ের দায়ে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে নিম্নমানের ও নকল-ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২ হাজার ১৬৯টি মামলা দায়ের করে ৬ কোটি ৬৬ লাখ ২৭ হাজার ৭শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৫৮ জন আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে এবং ৩৭টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নিম্নমানের ও নকল-ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি করার দায়ে ড্রাগ কোর্টে ৪১টি এবং ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ৬৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই সময়ে আনুমানিক ১৭ কোটি টাকার নিম্নমানের ও নকল-ভেজাল ওষুধ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস) গাইডলাইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় এবং ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের দায়ে এ পর্যন্ত ৮৬টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল এবং ১৮টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশের প্রথমসারির অধিক গুণগত মানসম্পন্ন ৩০টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দেশের চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ পূরণ করে থাকে এবং শতকরা ১০ ভাগ ওষুধ অন্যান্য মাঝারি ও ছোট ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাজারে নিম্নমানের ও নকল-ভেজাল ওষুধের পরিমাণ শতকরা ৩ থেকে ৫ ভাগ যা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ওষুধ উৎপাদনকারী ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানসমূহ কঠোরভাবে নরজদারি করে থাকে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সহায়তায় ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া, নকল ওষুধ চিহ্নিতকরণ এবং ওষুধের নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে বিক্রয়ের বিষয়ে অনলাইনভিত্তিক রিপোর্টিংয়ের জন্য ওয়েব পোর্টাল ও মোবাইল এপ্লিকেশন শীর্ষক একটি প্রকল্পের কার্যক্রম বর্তমানে পাইলটিং পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ এপ্লিকেশনের মাধ্যমে জনগণ ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিষয়ে রিপোর্ট করতে পারবে, ওষুধের নির্ধারিত মূল্য যাচাই করা সম্ভবপর হবে, দেশি যে কোন এলাকায় প্রাপ্ত ভেজাল ও নকল ওষুধ সম্পর্কে স্বল্প সময়ে নিশ্চিত হতে পারবে এবং ওষুধ সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ দ্রুত দাখিল করতে পারবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here