গোলাম মাহবুবুর রহমান, হিলি,হাকিমপুর,দিনাজপুর
ভারতীয় ব্যাবসায়ীদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে তিন দিন ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানী রফতানী বন্ধ রয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘটের কারনে এ বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। ভারত অভ্যন্তরে আমদানি পণ্যবাহী ৩ শতাধিক ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে।
ভারতের মালদাহ কাস্টমস কমিশনার ভারত হিলি কাস্টমস অফিসে এক লিখিত আদেশে জানায় বাংলাদেশে পন্য রপ্তানীতে রপ্তানীকারকদের মালদাহ কাস্টমস কমিশনার অফিস থেকে কাগজ পত্র ছাড় করতে হবে।কিন’ ভারত হিলি থেকে মালদাহ কাস্টমসের দুরত্ব দেড়শ কিঃমিঃ হওয়ায় এতে সময় ও ব্যায় বেড়ে যাবে।আবার সময় বেশি লাগার কারনে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে রপ্তানিকৃত কাঁচা পন্য নষ্ট হতে পারে।তাই সে দেশের ব্যাবসায়িরা আগের মতো স’ানিয় হিলি কাস্টমস থেকে পন্য ছাড়ের কাগজ পত্র দেওয়ার জন্য তারা এ অনিদৃষ্ট কালের ধর্মঘটের ডাক দেয়।
বাংলাদেশের হিলি স’লবন্দর কাঁচামাল আমদানি কারক গ্রুপএর আহবায়ক হারুন উর রশীদ হারুন জানান,ভারতীয় ব্যাবসায়িদের ধর্মঘটের কারনে আমদানির অপেক্ষায় সেদেশে প্রায় তিনশরও বেশি ট্রাক আটকা পড়ে আছে এর মধ্যে শতাধিক ট্রাকে পচন শীল কাঁচা পন্য রয়েছে। সে গুলোর মধ্যে ২ ট্রাক কাচা মরিচ ও পান ইতিমধ্যে পচে নষ্ট হয়ে গেছে।এতে করে আমাদের কোটি টাকারও বেশি লোকশান গুনতে হচ্ছে।
এদিকে গত তিন দিন ধরে হিলি স’লবন্দরের আমদানী রপ্তানী ব্যবসা বন্ধ থাকায় আমদানী কারকরা যেমন ক্ষতির সন্মুখিন হচ্ছেন অপর দিকে সরকারও হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।।