প্রতিনিধি, নীলফামারী
সৈয়দপুর শহরের এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে নীল ছবি তৈরি করেছে শুভ্র। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক মাস ঢাকা শহরের আটকে রেখে প্রায় অর্ধ শতাধিব নীল ছবির দৃশ্য ধারণ করেছে বলে অভিযোগ মিলেছে। পুলিশ সুন্দরী ওই বধুকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।
দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মুদি দোকানদার শের আলীর কন্যা সাবেরা খাতুনের (২২) প্রায় চার বছর পুর্বে সৈয়দপুর শহরের সৌদি প্রবাসী যুবক আব্দুস শহীদের সাথে বিযে হয়। বিয়ের দুই বছর পর স্ত্রীকে পিত্রালয়ে রেখে শহীদ সৌদিতে চলে যায়।
গত এপ্রিল মাসে ওই নববধু কম্পিউটার প্রশিক্ষনের জন্য খানসামা বাজার সড়কের নকঁশী কম্পিউটারে ভর্তি হয়। সুন্দরী সাবেরার প্রতি নজর পড়ে নকশীর মালিক শুভ্র (৩০)। সুকৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। আর এসব দৈহিক মিলনের দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দি করে শুভ্র। ওইসব ছবি বাজারজাত করার হুমকী দিয়ে ১৩ অক্টোবর রাতের আধারে সুন্দরী সাবেরাকে তার সাথে ঢাকা যেতে বাধ্য করে।
দীর্ঘ একমাস ঢাকা শহরের মিরপুর পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এর অপরিচিত বাসায় আটকে রেখে সাবেরাকে শারীরীক নির্যাতন চালিয়ে বিভিন্ন প্রকার অশ্লীল ছবি তৈরি করে। ওই ছবি বাজারজাত করার হুমকী দিয়ে সাবেরার বাবার কাছে আড়াইলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে শুভ্র। বিষয়টি আঁচ করতে পেয়ে নির্যাতিত সৌদি প্রবাসীর ওই বধূ ১৮ নভেম্বর বাসা থেকে পালিয়ে ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনালে চলে আসে এবং তার অবস’ানের কথা বাবাকে ব্যবসায়িক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দেন।
সেখান থেকে পরিবারের লোকজন পুলিশের সহায়তায় সাবেরাকে উদ্ধার করে খানসামায় নিয়ে আসে। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেরার সাথে অন্তরঙ্গ অশ্লীল ভিডিও চিত্র বাজারজাত করেছে শুভ্র। শুভ্র খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের কাঙ্গালী পাড়ার রোস্তম আলীর পুত্র।
এ ব্যাপারে খানসামা থানায় বুধবার রাতে সাবেরার বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার নকঁশী কম্পিউটারের মালামাল জব্দ করেছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ভবানী কান্ত রায় বলেন, আসামী শুভ্রকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।