সৌন্দর্যে নারীদের শেভইউনাইটেড নিউজ ডেস্ক :: ভ্রু প্লাক করা আর ঠোঁটের ওপরের লোম তোলার সঙ্গে ফেসিয়ালই এতদিন পর্যন্ত নারীর মুখমণ্ডলের রূপচর্চার অনুষঙ্গ ছিল। কিন্তু হাল আমলে এসে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন দৃশ্য! নারীরাও এখন পুরুষের মতো পুরো মুখ শেভ করছেন। ব্লেড কিংবা রেজরের ঘষা খেয়ে চামড়া পুরু হয়ে যায় বলে যে সাধারণ ধারণা, সেটাকে ভুল প্রমাণ করেই নারীরা তাদের মুখের নমনীয়তা বাড়াতে শেভ করছেন।

এমনকি ত্বক বিশেষজ্ঞদেরও দাবি, শেভিং চামড়ার জন্য উপকারী। জাপানের নারীরা তো মনে করেন, শেভিং তারুণ্য ধরে রাখতেও সহায়ক। হরমোনের প্রভাবে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর পুরুষের দাড়ি-গোঁফ গাজায় এবং তাদের নিয়মিত সেটা কামাতে হয়।

কিন্তু নারীদের এ ঝামেলা পোহাতে হয় না। আপাতদৃষ্টিতে মনে করা হতো, এ কারণেই পুরুষের তুলনায় নারীদের ত্বক বেশি কমনীয়। বিশেষ করে মুখমণ্ডলের নরম কোমল ত্বক অনায়াসে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য করে দেয়। কিন্তু এ পার্থক্য আর মানতে রাজি নন অনেকে।

তাই তো ব্রিটেনের অনেকেই আজকাল বাড়িতে নিয়মিত শেভ করছেন। আর জাপানের বিউটি স্যালনগুলোই তো ফেসিয়ালের পাশাপাশি শেভও করে দেয়। অবশ্য নারীদের শেভিংয়ের সময়টা নির্ভর করে ত্বকের ধরন ও লোমের বৃদ্ধির ওপর। কেউ প্রতি ঋতুতে একবার এ সেবা নেন। আবার অনেকে মাসে একবার নিজেদের মুখমণ্ডল শেভ করাচ্ছেন।

বলা হয়, মিসরের রানী ক্লিওপেট্রা থেকে শুরু করে হলিউড তারকা মেরিলিন মনরো ও এলিজাবেথ টেলর পর্যন্ত চেহারা ঠিক রাখতে নিয়মিত শেভ করতেন। জাপানের ত্বক বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, রোজ শেভ করলে ক্লান্তি ও মানসিক অবসাদ কমে।

ফলে চেহারায় তারুণ্য ফুটে ওঠে, যে কারণে অভিজ্ঞ কারও হাতে নারীরা এটা করাতে পারেন। তবে যাদের ব্রণ, মেছতা কিংবা অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাদের এটা না করাই ভালো।

আর ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ ড. মাইকেল প্র্যাগার মনে করেন, শেভ করলে লোম আরও ঘন এবং মোটা হয়, এ ধারণাও ভুল। তা ছাড়া শেভ করলে কোলাজেন হরমোন উৎপাদন বাড়ে এ জন্যই পুরুষদের বয়স ৩০ পার হলে চেহারার জেল্লা বাড়ে। একটু বেশি বয়সী নারীদের নিয়মিত শেভ করলে মুখমণ্ডলের চামড়া কুঁচকে যায় না। বাজারে এ জন্য বিশেষ ধরনের শেভিং রেজরও পাওয়া যাচ্ছে। অডিটি সেন্ট্রাল ও মেইল অনলাইন অবলম্বনে মোঃ আল জাবেদ সরকার।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here