খোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ আনসার ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর শরীয়তপুর জেলার সাবেক কমান্ড্যন্ট মোফাজ্জেল হোসেনের নারায়নগঞ্জের বাসার গৃহকর্মী সুমাইয়া আক্তার (১০) এর ১ মাস ধকে কোন সন্ধান মিলছে না। সুমাইয়া গত ১৪ মে মোফাজ্জেল হোসেন বেপারীর নারায়নগঞ্জের বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। এ বিষয়ে নারায়নগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরী হয়েছে।
নিখোজ সুমাইয়ার পিতা বাবুল মুন্সী জানায়, সে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। স্ত্রী-সন্তানদের ভরন-পোশন ও পড়ালেখার খরচ মিটাতে না পারায় স্ত্রীকে প্রবাসে পাঠিয়েছেন। স্ত্রীও প্রবাসে ভালো নেই। সেই সুযোগে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় কর্মরত আনসার প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) সামসুল আলমর তার স্যার মোফাজ্জেল হোসেনের নারায়নগঞ্জের বাসার গৃহকর্মী হিসেবে সুমাইয়াকে চায়। আমিও সন্তানদেও চাহিদা মিটাতে না পারায় সামসুল আলমের কথায় রাজী হই।
মে মাসের ১২ তারিখ সামসুল আলম ও তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম সুমাইয়াকে নারায়নগঞ্জে তার স্যারের বাসায় দিয়ে যায়। ২ দিন পরে শুনি সুমাইয়াকে খুঁজে পাচ্ছে না। আজ ১ মাস পার হয়ে যায় তারা আমার মেয়েকে খুঁজে দিচ্ছে না। আমার বিশ্বাস সামসুল আলম, তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম ও তার স্যার মোফাজ্জেল হোসেন বেপারীর যোগসাজসে সুমাইয়াকে কোথায় বিক্রি করে দিয়েছে।
আনসার প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) সামসুল আলম ও তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম বলেন, শরীয়তপুরের সাবেক কমান্ড্যন্ট মোফাজ্জেল হোসেন স্যার তার নারায়নগঞ্জের বাসার জন্য একজন গৃহকর্মী চায়। আমার পরিচিত বাবুল মুন্সীর স্ত্রী বিদেশ থাকে আর বাবুল মুন্সী মেয়েদের নিয়ে কষ্ট করে। তাই বাবুল মুন্সীকে বলে তার মেয়ে সুমাইয়াকে স্যারের নারায়নগঞ্জের বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দেই। ২ দিন পরেই স্যার ফোনে জানায় সুমাইয়াকে খুঁজে পাচ্ছেন না। সংবাদ পেয়ে আমরা নারায়নগঞ্জে যাই। সম্ভাব্য স্থানে সুমাইয়াকে খোঁজাখুঁজি করে কোন সন্ধান পাইনি। সুমাইয়াকে খোঁজার বিষয়ে স্যার আমাদের তেমন কোন সহায়তা না করায় নারায়নগঞ্জ মডেল থানায় সাধারন ডাইরী করি। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেই। ১ মাস পেরিয়ে গেলেও সুমাইয়ার কোন সন্ধান পাচ্ছি না। এখন আমি স্যারের মোবাইলে কল করলে কেটে দেয়। আমার সাথে কোন যোগাযোগ রাখে না। স্যার আরো উল্টো অভিযোগ করে বলে সুমাইয়া তার বাসার জিনিসপত্র চুরি করে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য আনসার ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক কমান্ড্যন্ট মোফাজ্জেল হোসেন বেপারীর ০১৭১৫৬৪১৬৪৫ নম্বরে কল করা হয়। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে নিজের পরিচয় গোপন রেখে কোন কথা না বলে কল কেটে দেন মোফাজ্জেল হোসেন বেপারী।