শরীয়তপুরে আ’লীগের দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার: ১৫টি বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটখোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :: শরীয়তপুরের চন্দ্রপুরে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের আধিপত্যের জের ধরে প্রতিপক্ষের অন্তত ১৫টি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার দুপুরে চন্দ্রপুরের চরগাজীপুর গ্রামে স্থানীয় কতিপয় আওয়ামীলীগ সমর্থকদের সাথে অর্ধশতাধিক মুখোশধারী লোকজন হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় দু”গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

চরগাজীপুর গ্রামের শাহ আলম মাদবর ও পালং থানা সুত্রে জানাগেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। একটি পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ও অপর পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সহ সম্পাদক মেহেদী জামিল।

এ বিরোধের জের ধরে আজ দুপুরে মেহেদী জামিলের সর্মথক চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওর্য়াডের সদস্য আফতাজুল মাদবরের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক মুখোসধারী লোকজন ইকবাল হোসেন অপুর সমর্থকদের ঘরবাড়ীতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা দিল ইসলাম মোড়ল, মোকসেদ সিকদার, রাজ্জাক মোড়ল, দানেস মহলদার, মালেক মোড়ল, ইকবাল মোড়ল, সিরাজ মাস্টার, নুরুল হক মাদবর, লালচান মাদবর, ফজল মাদবর ইউনুছ মগলদার, হযরত আলী মহলদারের বসত ঘর ও রফিক মহলদার এবং মান্নান মাদবরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অন্তত ১৫টি বাড়ীতে হামলা চালায়।

এ সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর ও নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুটপাট করে। খবর পেয়ে পালং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এ ঘটনায় সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

ক্ষতিগ্রস্থ দিল ইসলাম মোড়লের স্ত্রী পারুল বেগম ও মোকসেদ সিকদারের স্ত্রী ছাহেরন নেছা বলেন, আমাদের এলাকার আফতাজুল মেম্বারের লোকজনের সাথে ৫০/৬০ জন মুখোসধারী লোকজন এসে আমাদের ঘরবাড়ীতে হামলা চালিয়ে ঘরের সব কিছু ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় তারা ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

ইকবাল হোসেন অপুর সর্মথক শাহ আলম মাদবর বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা মেহেদী জামিলের সমর্থক আফতাল মেম্বারের নেতৃত্বে আবু বকর মাদব, ইউনুস মাদবর, সেকান্দের মাদবর, তাজুল মাদবর, আনিসুদ্দিন মাদবর, সামসুদ্দিন মাদবরসহ মুখোসধারী আরো অর্ধশতাধিক লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের লোকজনের বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে আফতাজুল মাদবরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

পারং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করি। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। অভিযোগ পাইলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here