শমসের বিন মুসাসারোয়ার মিরন ::

আমার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন বহুল আলোচিত ধুনকুবের ডঃ প্রিন্স শমসের বিন মুসা। আমি ভাবতেই অবাক হই ঠিক কতো জ্ঞানী কিংবা কতোটা কৌশল প্রয়োগ করলে একজন মানুষ এত দ্রুত বিশ্বের সেরা ধনীদের একজন হতে পারে!!!

মাইকেল এইচ হার্ট তার লেখা বিশ্বের একশ শ্রেষ্ঠ মনীষিরদের তালিকায় রেখেছেন এডলফ হিটলার, চেঙ্গিস খানের মতো যুদ্ধবাজ ও ডাকাত সর্দারকেও। পৃথিবীতে বিখ্যাত হবার দুটো রাস্তা আছে। একটি ভালো কাজ আরেকটি মন্দ।

নিঃসন্দেহে বলা যায় মাইকেল এইচ হার্ট ভুল করেননি। হিটলার যুদ্ধবাজ হলেও বহুমুখী প্রতিভা এবং যুদ্ধের কৌশলে তিনি ছিলেন পারঙ্গম। কৌশল আর নেতৃত্ব গুনে হিটলার শাষন করতে চেয়েছিলেন অর্ধ পৃথিবী। খানিকটা সফলও তিনি। যুদ্ধের কৌশলের কারনেই তিনি আজ শ্রেষ্ঠদের কাতারে।

আমিও প্রিন্স মুসাকে শ্রেষ্ঠদের কাতারে রাখতে চাই। একজন বাংলাদেশী হয়ে যিনি নিয়ন্ত্রন করছেন বিশ্বের তাবদ অস্ত্র ও তেল ব্যবসার সিংহ ভাগ। আদম ব্যবসাতেও রাজত্ব তার চোখে পড়ার মতো।

আমাকে দারুন ভাবে প্রভাবিত করেছে তার রুচিবোধ, চালচলন, কথাবার্তা এবং উন্নত জীবনযাত্রা বোধ সর্বপোরি তার ব্যক্তিত্বে আমি যারপরানইনা বিমোহিত। তাকে দেখে রাজা প্রজাযুগের যুবরাজদের কথাই মনে পড়েছে। দুদকে এসেছেন নির্ধারিত সময়ের আগেই। বলেছেন খোলামেলা কথা। নেই কোন রাখঢাক। ভীষন নীট এন্ড ক্লীন জেন্টলম্যান।

শমসের বিন মুসাপদ্মা সেতু নিয়ে করা তার মন্তব্যকেও সাধুবাদ জানাই। পদ্মা সেতু করা তার বাবারও নাকি স্বপ্ন ছিলো। তার উপার্জিত সম্পদ মানবিক কাজে ব্যবহার করার মনোভাবে আমি তার সুন্দর মনটাকেই দেখি। সাংবাদিকদের সাথেও বেশ সাবলীল ছিলেন। বেশ স্মাট কথা বার্তায়।

তার চ্যালেঞ্জ এর দৃঢতাও মুগ্ধ করে। সর্বত্র্যই যেন এক আদর্শ নেতা নেতৃত্বের ছায়া। এক কথায় অসাধারন এক অতি মানব।পদ্মা সেতু তাকে দিয়ে করানোর দাবিটাও সরকার ভেবে দেখতে পারে!

থেকেছেন বিদেশে। আছেন বিদেশে। ব্যবসা বানিজ্য করেন বিদেশে। সঞ্চয় করেছেন বিদেশী ব্যাংকে। করছেন বৈধ অস্ত্রের ব্যবসা। ডঃ মুসা দৃঢ় কন্ঠে বলেছেন বৈধ কিংবা অবৈধ হোক কোন পথেই গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশে কেউ এত টাকা ইনকাম করতে পারেনি। আগামী পঞ্চাশ বছরেও কেউ তা পারবেনা। বাংলাদেশে নাকি যে কোন উপায়েই হোক এতো টাকা আয়ের খাত নেই।

আমি তার প্রজ্ঞা ও দুরদর্শিতাকেও সাধুবাদ জানাই। বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যবসায়ীদের মোকাবেলা করে তিনি সফল হয়েছেন। সুতরাং তিনি সাধারন নন। একেবারে ব্যতিক্রম ও প্রতিভাধর।

প্রিন্স মুসা দাবি করেছেন তার সব আয় বৈধ এবং বিদেশ থেকে। দুদক যদি দুর্নীতির প্রমান পায় তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সত্যিই যদি তার আয় বৈধ হয়ে থাকে তাহলে সরকারের উচিত হবে তাকে তার ইনকাম বা জমানো টাকা গুলো দেশে আনার ব্যাপারে। এতে দেশের মঙ্গলই হবে।

মুসা বিন শমসের এর প্রতি আমার একান্ত চাওয়া হবে তিনি যেন তার সমূহ সম্পদ ও টাকা গুলো বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ লাগান। বিশেষ করে হত দরিদ্রদেরকে নিয়ে। তিনি যেন তার পজিটিভ গুন গুলো দেশের কল্যানে কাজে লাগান।

২৩.১২.২০১৪

লেখক : sarwarmiran87@gmail.com

 

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here