আজকাল প্রায় ঘরে ঘরে লিভারে ফ্যাট জমার সমস্যা রয়েছে। অবশ্য, লিভারে একটা ন্যূনতম পরিমাণ ফ্যাট তো থাকবেই। তবে আপনার লিভারের ওজনের থেকে যদি তা ৫-১০ শতাংশ বেশি হয়, তবেই তাকে ফ্যাটি লিভার বলা হবে। যাদের ওজন বেশি কিংবা অধিক পরিমাণ অ্যালকোহল নেন এটা সাধারণত তাদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এমনকি ডায়াবেটিস থাকলেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে। অনেক সময় ঠিকমতো খাবার হজম না হলে বা বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকলেও লিভারে চর্বি জমতে পারে। তবে ভরে কিছু নেই। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা যেমন ঘরে ঘরে। তেমনি সমাধানও রয়েছে আপনার হাতের কাছেই। আপনি শুধু একবার চোখ বুলিয়ে নিন।

আপেল ভিনিগার: ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় মোক্ষম ওষুধ এটি। হাল্কা গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে দিনে দু’বার খাবার আগে খান। চাইলে মধুও মিশিয়ে খেতে পারেন। কয়েক মাস খেয়ে দেখুন তো কাজ হয় কি না।

পাতিলেবু: এমনিই প্রতিদিন লেবুর পানি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল। বিশেষ করে যাঁদের শরীরে ফ্যাট বেশি। তাছাড়া লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। লিভারের জন্য যা খুবই ভাল। অর্ধেক লেবু কেটে পানিতে মিশিয়ে খান। টানা কয়েক সপ্তাহ খেয়ে দেখুন লিভারের ফ্যাট কমতে বাধ্য।

হলুদ:  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তো রয়েছেই। সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের জন্যও খুব ভাল। ২০০৮ সালে চীনের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ফ্যাটি লিভার কমাতে হলুদের জুড়ি নেই। কারণ, হলুদ ফ্যাট হজম করতে সাহায্য করে। ১-২ গ্লাস পানিতে হাফ চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। দিনে দু’বার অন্তত খান। দু’সপ্তাহ পরই হাতেনাতে ফল পাবেন।

গ্রিন টি:  এখন তো সর্বত্রই গ্রিন টি পাওয়া যায়। দিনে দু’বার গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। শরীর শুধু সতেজই থাকবে না, লিভারও ভাল থাকবে।

আদা: ভাল করে আদাটা গ্রেড করে নিন। মোটামুটি এক চামচ মতো গ্রেড আদা হালকা গরম জলে মিশিয়ে খান। সপ্তাহ দু’য়েক খেলেই বদলটা বুঝতে পারবেন। মাথায় রাখবেন, অতিরিক্ত ফ্যাট থেকে লিভারকে বাঁচাতে আদা খুবই কার্যকরী।

যষ্টিমধু: এক কাপ গরম পানিতে হাফ চামচ যষ্টিমধু মিশিয়ে ৫-১০ মিনিট ফোটান। অল্প মধু মিশিয়ে দিনে দু’বার খান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here