জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: লক্ষ্মীপুরে এম এ সাত্তার ট্রাস্ট কর্তৃক শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বসে থেকেও সনদ কিংবা খাবার না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হয়ে চলে জান অনেকেই। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, বুধবার সকালে এম এ সাত্তার ট্রাষ্টে বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় মান্দারী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল।
অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান এম এ সাত্তারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মোল্লা, মান্দারী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম প্রমুখ।
নিয়মানুযায়ী ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জিতসহ ২০১জনকে সনদ ও প্রাইজবন্ড দেওয়ার কথা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ অতিথিরা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পুরষ্কার বিতরন করে চলে যান। এরপর থেকেই ভোগান্তি চরম আকার ধারন করে।
সনদ দেয়ার নামে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রেখেও সনদ দেওয়া হয়নি এবং সময়মত খাবারও বিতরন করা হয়নি তাদের মাঝে। পরে জানিয়ে দেওয়া হয় নিজ বিদ্যালয়ে সনদ পৌছে দেওয়া হবে।
এক পর্যায়ে অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হলে বিকাল ৩টায় তাদের মাঝে নাস্তা বিতরন করা হয়। দুপুরের খাওয়ারের পরিবর্তে নাস্তা দেওয়ায় অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানকে নিয়ে চলে যান।
এ সময় অনিয়মের প্রতিবাদ করে সভাস্থলে কয়েকজন অভিভাবক অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান এম এ সাত্তারের সাথে তর্কবিতর্ক করতে দেখা গেছে।
কয়েকজন অভিভাবক জানায়. সনদের কথা বলে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখার কোন মানে হয়না। সনদ স্কুলে পাঠাবে বললে তো দুপুরে চলে যেতাম। সকালে এনে বসিয়ে রেখেছে। তাছাড়া গতবারেও সনদ পাওয়া অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরও এনে বসিয়ে রাখা হয়। ছোট-ছোট ছেলেমেয়েদের সারাদিন বসিয়ে রেখে দুপুরের খাওয়া পর্যন্ত দেয়া হয় নাই।
মান্দারী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন, সারাদিন বসিয়ে রাখার কোন মানে হয় না। আগামীকাল এস এস সি পরীক্ষা। স্কুলের সব বেঞ্চ এ ভাবে বাহিরে এনে রাখা হয়েছে এগুলো শ্রেণী কক্ষে নিয়ে আসন নাম্বার বসাতে হবে। পরীক্ষার আগের দিন আমাদেরকে দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করানো হচ্ছে।