জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটের মজু চৌধুরীর হাট ফেরীঘাটের রাস্তায় যাত্রী ও যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বালু ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় একটি বালুমহাল সিলগাল করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দু’টি ট্রাক জব্দ ও দুই চালককে আটক করা হয়।
সোমবার বিকেলে মজু চৌধূরীর হাট ফেরীঘাট সংলগ্ন সেলিমের বালুমহালে অভিযান চালায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহাজান আলী।
আটকরা হলেন-ফেনী জেলার বাসিন্দা আবুল হাসেমের ছেলে ট্রাক চালক হানিফ ও হাবিব উল্লাহর ছেলে মো. মমিন। তাদের মজু চৌধুরীর হাট নৌ-পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। অভিযানের খবর টের পেয়ে আগেই বালুমহালের মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটের মজু চৌধুরীর হাট ফেরীঘাটে ঢোকার পথের রাস্তায় স্থানীয় প্রভাবশালী সেলিমের বালুর ব্যবসা করে আসছে। প্রতিদিন ঘাটের ওই রাস্তার ওপর ট্রাক রেখে বালু ভর্তি করা হয়। এ সময় এ রুটে চলাচলকারী শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। সময় মতো ফেরীতে ওঠতে না পারায় বাস যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে এবং পণ্যবাহী ট্রাকের কাঁচামাল পচে নষ্ট হয়ে যায়।
এছাড়া বালুবহনকারী ট্রাকের চাপে একটু বৃষ্টিতেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে রাস্তাটি। বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করা হয়। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল ও ইউএনও মোহাম্মদ শাহাজান আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সর্তক করেন। একই সময় লাল পতাকা দিয়ে রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাজান আলী বলেন, সর্তক করার পরেও অব্যাহতভাবে ব্যবসা চালিয়ে ফেরীঘাটে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখায় বালুমহাল সিলগালা করা হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দু’টি ট্রাক ও দু’জন চালককে আটক করা হয়।
অভিযানকালে চর রমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়াল উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মজু চৌধুরীর হাট ফেরীঘাট হয়ে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটে ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার ওপর বালু ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় ওই পথের হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়ছেন।