স্টাফ রিপোর্টার :: বিরোধী দলগুলোর প্রচণ্ড হট্টগোলের মধ্যেই ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পেশ হলো তাৎক্ষণিক তিন তালাকবিরোধী বিল। গতকাল বুধবার সকালে বিলটি উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তবে লোকসভায় বিলটি সহসা পাস হলেও রাজ্যসভায় তা নাকচ করে দেয় বিরোধী দলগুলো। রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এর আগে গত সপ্তাহে বিলটি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় পাস হয়।
রাজ্যসভায় বিল পেশ করে আইনমন্ত্রী প্রসাদ বলেন, লোকসভায় এই বিল পাস হওয়ার মধ্যেই মোরাদাবাদে এক মুসলিম নারীকে তাৎক্ষণিক তিন তালাক দিয়েছেন তার স্বামী। তাই মুসলিম নারীদের রক্ষায় এ আইন জরুরি।
তবে বিল পেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তোলে বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর নোটিস দেন। তিনি ওই কমিটির সম্ভাব্য নামও সুপারিশ করেন।
জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, কংগ্রেসের নোটিস নিয়ে তারা বিস্মিত। কারণ যে কোনো নোটিস পেশ করার অন্ততপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে জানাতে হয়।
জানা গেছে, কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি, তেলেগু দেশম ও শিবসেনা বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর পক্ষে। তাতে তীব্র আপত্তি সরকারের। এ নিয়ে এদিন বিলটি আটকে যায়। আজ বিজেপি আবার এ বিল পাস করানোর চেষ্টা করবে। এর আগে গত সপ্তাহে কণ্ঠভোটের মাধ্যমে বিলটি পাস হয় লোকসভায়। প্রস্তাবিত বিলে মুখে মুখে তাৎক্ষণিক তিন তালাক অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় স্বামীর তিন বছরের জেলদণ্ড রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বিলে তাৎক্ষণিক তিন তালাকের শিকার হওয়া মুসলিম নারীদের বেশ কিছু অধিকারও দেওয়া হয়েছে।