usa-dollarsনিউ ইয়র্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং নীতিমালায় কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপে হুমকির মুখে পড়েছে দেশীয় মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানগুলো। নগদ অর্থ ব্যবস্থাপনায় অধিক বীমা ব্যয় ও কঠোর শর্তাবলীর কারণে একটি ব্যাংক ছাড়া আর কোন ব্যাংকই বাংলাদেশী রেমিটেন্স প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাকাউন্ট নিতে রাজি হচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানো নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন দেশের একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ফলে চলতি ঈদ মওসুমে বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতিবছর বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সোনালী এক্সচেঞ্জ, স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেস, এন-বি-এল, ব্যাংক এশিয়া এক্সপ্রেস, জনতা এক্সপ্রেস, রুপালী এক্সপ্রেস এই ৬টি দেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠিয়ে থাকে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের এম-এস-বি একাউন্ট নিতে রাজি না হওয়ায় এর পেছনে ব্যাংকিং নীতিমালার কঠোর শর্তাবলীকে দায়ী করলেন ওইসব প্রতিষ্ঠানের কর্মপ্রধানরা। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে, বাংলাদেশের একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা না গেলে এ খাতে সরকারকে বড় ধরনের ধসের মুখে পড়তে হবে বলে তারা সতর্ক করেন।
এদিকে নতুন করে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা না করেও মানি এক্সচেঞ্জগুলোকেই ব্যাংকে উন্নীত করা সম্ভব বলে জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিনটন প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তা ও এটর্নি শ্যন থেভার। তাই দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং প্রবাসীদের কথা ভেবে সরকারকে এখনই উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান সচেতন প্রবাসীরা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here