মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মাসুম মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ সদর থেকে সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একটি ইউনিয়নের নাম বহরবুনিয়া । নদী পথই এ এলাকার মানুষের ভরসা। বাধ্য হয়েই এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার পথে আসতে হয় উপজেলা সদরে।
মোরেলগঞ্জ সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দুরে বহরবুনিয়া ইউনিয়নের অবস্থান। সদর থেকে সড়ক পথে এ ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। সড়ক পথে বহরবুনিয়ায় যেতে অনেক চড়াই উৎরাই পেরুতে হয়। কোন ভ্যান বা মটর সাইকেল যোগে যাবার জন্য কোন রাস্তা নেই।
একের পর এক পানগুছি নদীর ভাঙ্গনে রাস্তা বিলিন হওয়ার কারণে এলাকাবাসীর এ দুরাবস্থা। বহরবুনিয়ার ইউনিয়নের ফুলহাতা বাজার একটি ব্যবসায়িক বন্দর হিসেবে পরিচিত। কিন্তÍু সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার কারণে এ ইউনিয়নের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীকে মোরেলগঞ্জ বন্দরের সাথে যোগাযোগ রাখা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।
সড়ক পথে উপজেলা সদর থেকে ১৫-৩০ মিনিটের পথ নদী পথে দুই থেকে আড়াই ঘন্টায় যাতায়াত করতে হয়। বৃষ্টির মৌসুমে সড়ক পথের সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ সময়ে নদী পথেও যাতায়াতে দুরাবস্থায় পড়তে হয় এলাকাবাসীকে।
বহরবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ জানান, তাকে প্রতিদিন মোরেলগঞ্জ থেকে ট্রলার যোগে ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। একইভাবে অনেক শিক্ষক এ ট্রলার যোগে আসা যাওয়া করেন। তাদের ভোরে বাসা থেকে বের হয়ে সন্ধ্যায় ফিরতে হয়। বহরবুনিয়া ইউনিয়ন থেকে শত শত শিক্ষার্থী মোরেলগঞ্জের বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। তাদেরকেও প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার যোগে আসা যাওয়া করতে হয়।
বিকল্প ব্যবস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের দুঃচিন্তার সীমা থাকে না। সড়ক যোগায়োগ না থাকায় বহরবুনিয়া খালে নির্মিত ব্রিজটি জনসাধারণের কোন কাজে আসছেনা। বহরবুনিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান টিএম রিপন জানান, বারইখালী ফেরিঘাট থেকে ফুলহাতা বাজার পর্যন্ত পানগুছি নদীর ভাঙ্গন রোধ কার্যকরী ব্যবস্থা না হলে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব নয়।