মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: সন্ত্রাসীরা বোপরোয়াএম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :: নারায়ণগঞ্জ সদরের ফতুল্লায় মাদ্রাসা ছাত্রী স্মৃতি মনিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা বোপরোয়া হয়ে পড়েছে। আসামীরা ও তাদের লোকজন নিহতের পরিবারকে মামলা তুলে নিয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্রে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি অব্যাহত রেখেছে।

ফলে নিহতের পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এর মধ্যে নিহতের বড় ভাই টিটু গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ থাকায় পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক কয়েকগুনে বেড়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা তাসলিমা ফতুল্লা মডেল থানায় একটি জিডি দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর রাতে ফতুল্লার মধ্য ধর্মগঞ্জ এলাকার রমিজ উদ্দিন দেওয়ানের তিন তলা বাড়ির ২য় তলার ভাড়াটিয়া ফোরকান মৃধার মেয়ে স্মৃতি মনিকে (১৪) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় দুবৃত্তরা। স্মৃতি মনি ধর্মগঞ্জ ইসলামীয় আরাবিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী। ৪ ভাই ৩ বোনের মধ্যে স্মৃতি মনি ৫ম।

পরদিন ১১ অক্টোবর নিহতের মা তাছলিমা বেগম বাদি হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে হাবিব, ইব্রাহীম হোসেন মনা ও নাহিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া পলাতক রয়েছে শাওন ও হৃদয় নামের দুইজন। এদের মধ্যে গ্রেফতারকৃত ইব্রাহীম হোসেন মনা ওরফে সজিব গত সোমবার আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার দেয়া জবানবন্দিতে বর্বর এ হত্যার ঘটনায় ৪জন জড়িত।

নিহতের মা তাছলিমা বেগম জানান, গত ১১ অক্টোবর স্মৃতি মনির লাশ দাফনের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে আমার ছেলে টিটু পূর্ব ধর্মগঞ্জ ঢালীপাড়া চেয়ারম্যান বাজারে দোকানে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। কিন’ এরপর থেকে তার কোন হদিস পাচ্ছিনা।

এরমধ্যে পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেছে এবং গ্রেফতারের জন্য যাদের খুঁজছে তাদের লোকজন আমাদের বাসায় এসে হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে নিয়ে এলাকা ছেড়ে না দিলে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করবে। আমাদের পরিবারের আরও সদস্যদের প্রান কেড়ে নিবে।

তাছলিমা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যারা মামলা তুলে নিতে হুমকী দিয়েছে তারাই টিটুকে গুম করে থাকতে পারে। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, অভিযুক্ত ও হুমকীদাতাদের গ্রেফতার ও নিখোঁজ টিটুকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here