মসজিদে আত্মঘাতীআন্তর্জাতিক ডেস্ক :: সময় যত যাচ্ছে ইয়েমেনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। সংবাদ মাধ্যমগুলো প্রথমে খবর দেয় নিহত হয়েছে ৩০ জন, এরপর ৪৫, ৭০। এখন ১৪২-এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

সংবাদদাতারা বলছেন, সানার নিয়ন্ত্রণ এখন যাদের হাতে – সেই শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থকরা ‘বদর’ এবং আল-হাশুশ নামের ওই মসজিদগুলোয় যেতো।

এ ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে জঙ্গিসংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, অনলাইনে দেওয়া এক বিবৃতিতে আইএস এ হামলা সম্বন্ধে বলেছে ‘এটি ক্ষুদ্র সূচনা মাত্র।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বিধর্মী’ হুতিদের এটি জেনে রাখা উচিত যে, আইএসের সৈন্যরা তাদের ধ্বংস না করা পর্যন্ত এবং সাফাভিদদের (‍ইরানিদের) হাত কেটে না নেওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।

বিবিসির এ্যালান জনস্টন জানাচ্ছেন, শুক্রবারের নামাজের সময় ঠিক যে সময়টায় মসজিদগুলোয় সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম হয় – তখনই এই আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে লোকের ভিড়ের মধ্যে, আর দ্বিতীয়টি ঘটে ভীতসন্ত্রস্ত লোকেরা পালানোর সময়।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মসজিদ দু’টিতে রক্তের বন্যা বইছে। মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য মুসুল্লি ছিটকে পড়েন। বদর মসজিদে এই হামলার মাত্রা ছিল সবচেয়ে বেশি। নিহতদের মাথা, পা, হাত গোটা মসজিদে ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি বললেন, যারা মারা যায়নি তারা এমনই গুরুতর আহত হয়েছেন, তারা বাঁচবেন কি-না সন্দেহ। মসজিদের কাঁচ ভেঙে তারা গুরুতর আহত হয়েছেন। বিদ্রোহীদের পরিচালিত মাসিরা টিভি চ্যানেলে দেখা যায় কম্বলে করে একের পর এক লাশ মসজিদ থেকে বের করা হচ্ছে। নগরের হাসপাতালগুলোতে রক্তদানের জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে।

গত বছর শিয়া বিদ্রোহীরা সানার নিয়ন্ত্রণ দখল করার পর থেকেই তাদের সাথে ইয়েমেনের অন্য ক্ষমতাধর গোষ্ঠীগুলোর তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। তাদের মধ্যে আছে আল-কায়েদা অনুগত জঙ্গিরা – যাদের ঘাঁটিগুলো মূলত ইয়েমেমের দক্ষিণে ও পূর্বে।

আজকের এই বোমা হামলাগুলোর ঠিক একদিন আগেই দক্ষিণাঞ্চলীয় এডেন শহরে হুতিদের অনুগত বাহিনীর সাথে দেশটির প্রেসিডেন্ট আবেদরাব্বো মনসুর হাদীর সমর্থক বাহিনীর লড়াই হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here