ভোলা জেলার বিভিন্ন চর অঞ্চলে শিশু শ্রমিকদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। যে বয়সে  শিশুদের স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সেই শিশুদেরকে দারিদ্রতায় কর্মমুখী করে তুলছে। শুধু বেচে থাকার তাগিদেঅল্প বয়সে এসব শিশু অমানবিক পরিশ্রম করছে। আর্থিক অনটন অসচেতনতার কারনে এসব শিশুদের পিতা-মাতা তাদের  স্কুলে না পাঠিয়ে প্রাপ্ত বয়সের আগেই সনত্মানদের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ন কাজে পাঠিয়ে দেয় ।

মনপুরা,চরফ্যাশন ,তজুমদ্দিন উপজেলার শতকরা ৮০ ভাগের বেশি শিশুরা নদীতে মাছ ধরে জীবন কাটায়। এখান কার শিশুদের বয়স কোন মতে ৫ বছর হলেই বাবা মা নৌকার জাল টানার জন্য ছোট ছোট নৌকায় দিন ভর ২০ থেকে ৫০ টাকা হারে কাজ করতে পাঠিয়ে দেয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নদীতে নৌকা গুলোতে শিশুদের সংখ্যা অনেক বেশি।এদের  জীবনের কোন মায়া নেই নদী সমুদ্রের বড় বড় ঢেউয়ে কখনো এসব শিশুরা নদী সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যায়। আবার কখনো জলদস্যুদের  কবলে পরে জীবন হারাতে হয়। অভাবের তারনায় সংসারের চাকা সচল রাখতে ওদের  কঁচি হাতে উঠছে জীবন সংগ্রামের হাতিয়ার । বিপদজ্জনক ও শোষনমূলক শ্রমের কারনে ওদেও জীবন বিপন্ন হয়ে ওঠে। জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে এসব শিশু বিভিন্ন হোটেল, চায়ের দোকান বেকারি ওয়েল্ডিং কারখানায়,গাড়ির হেলপার, ইট-পাথর ভাঙ্গা ,নদীতে মাছ ধরা সহ বিভিন্ন ভারী কাজ কর্ম করছে। বিভিন্ন হোটেল, চায়ের দোকান বেকারি ওয়েল্ডিং কারখানার মালিকরা কম বেতন বেশি শ্রম আদায় করা যায় চিনত্মা করে  শিশুশ্রমিক নিয়োগে বেশি আগ্রহী এবং অনেক শিশুকে কাজ শিখানোর নাম করে  তাদের কাছ থেকে উল্টো টাকা নিয়ে খাটানো হচ্ছে ঝুঁকি পূর্ন কাজে। শিশু শ্রমিকদের সাথে আলাপ করলে তারা জানায়, অন্যান্য শিশুদের মত তাদেরও স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে কিন্তু পরিবারের দারিদ্রতার কারনে পরিবারের চাপে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সারা দিন বিভিন্ন স্থানে কাজ কর্ম করে যা পাওয়া যায় তা দিয়ে বাবা মা ভাইবোনে জন্য চাউল ডাল কিনে নেই । রাতে ঠিক মত ঘুমাতেও পরিনা পরের দিনের কাজের কষ্টের কথা মনে পরলে।মালিকরা তাদেরকে নিম্নমানের খাবার খেতে দেয় এবং ঠিক মত তাদেও প্রাপ্য বেতন দেয়না।লেখাপড়ার ইচ্ছা থাকলেও দরিদ্রতার কারনে লেখাপড়া করার সুযোগ হয়না।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/এন এম জিকু/ভোলা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here