ভূল চিকিৎসাজহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জনতা মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল বন্ধের র্নিদেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন। ২২ জুলাই ইউনাইটেড নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমে সংবাদ প্রকাশিত হয় জনতা মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের ভূল চিকিৎসায় একটি হাত হারাতে বসেছে ৪ বছরের শিশু নাঈম। এছাড়া ডাক্তার ও প্রশিক্ষিত নার্স ছাড়াই চলছে হাসপতাল।

ইউনাইটেড নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমে রিপোর্ট প্রকাশের পর ৩০ জুলাই লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা খালেদ আহমেদ হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন। পরির্দশন কালে তিনি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও প্রশিক্ষিত কোন নার্স না থাকা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না থাকায় সোমবার সকালে (৩১জুলাই) হাসপতালটি বন্ধের জন্য চিঠি দেন। এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক ও মহাপরিচালক স্বাস্থ্যা অধিদপ্তরকে অনুলিপি প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, রামগঞ্জ উপজেলার নোমান পাটওয়ারীর একমাত্র ছেলে মাহবুবুর রহমান নাঈমকে গত ৩০মে জ্বরের চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জে জনতা মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ আলীর অধীনে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার বাম হাতে ক্যানোলা স্থাপন করা হয়। কিন্তু ক্যানোলা স্থাপনের পর থেকে তার হাতে ব্যাথা শুরু হয়। চিকিৎসার দ্বিতীয় দিনে ক্যানোলা মারাত্মক ইনফেকশন হয়ে নাঈমের হাত কালচে হয়ে যেতে থাকে। চার দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর অবস্থার আরও অবনতি হলে এক পর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বলে। নাঈমের মা না আসতে চাইলে জোরপূর্বক হাসপাতাল থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের মালিকের সাথে তার ফ্যামিলির লোকজন এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে উল্টো তাদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।

পরবর্তীতে শিশুটিকে ঢাকায় এনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তারা হাত কেটে ফেলতে বলেন। শিশুটির পিতা প্রশাসনের নিকট এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও ক্ষতিপূরন দাবী করে ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here