ঢাকা: চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণসহায়তা দেবে।

একটি একক অর্থবছরে এ পরিমাণ ঋণ সহায়তা এটাই সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ্পি হোয়েরো।

মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রশংসা করে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট আরো  বলেন, বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কারণ,  মানুষের উদ্যোক্তাসুলভ মানসিকতা। আর বাংলাদেশের জনগণ খুবই পরিশ্রমী। আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশেরও বেশি হবে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে মধ্যমআয়ের দেশে পরিণত করার যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, তাকে সফল করতে হলে দেশের অবকাঠামো ও বিদ্যুৎখাত উন্নয়নে জোর দিতে হবে। পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ভাইস  প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে  একটি ভালো উদ্যোগ। কোনো একটি বড় প্রকল্পে অর্থ ব্যয় করলে অন্যখাতে অর্থায়ন করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করলেও অন্যান্য খাতে অর্থায়ন করছে। আর অর্থায়ন বড় কথা নয়, বাস্তবায়নটাই আসল কথা।

অন্যদিকে আন্তজার্তিক উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যালান ডানকান অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিটিশ এই মন্ত্রী  বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশিলতা প্রয়োজন। নতুন সরকারকে  সব ধরণের সহায়তা দেবে ব্রিটিশ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ডিএফ আইডি। পোশাক শিল্পখাতেও সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here