মামুনুর রশীদ নোমানী,
বরিশাল : বরিশাল পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটে ২০১০ সালের সেই লোম হর্ষক সংঘষের্র ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সকল আসামিকে মঙ্গলবার বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত। বরিশালের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুসরাত জাহান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হল- বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, পলিটেকনিক ইনইষ্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগ নেতা সাইদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান, শেখর দাস, আমিন, মেহেদী হাসান, মোশাররফ মোল্লা, আবু সায়েম সরদার, ইউনুছ, মাকসুদুর রহমান সেলিম, সাজিদ আহম্মেদ, এসএম রাকিবুল হাসান, আ.খ.ম রাজিব হোসেন, রেজাউল করিম রেজা, কামরুজ্জামান জুয়েল ওরফে চাকমা জুয়েল, অনুপ কুমার রায়, মহিউদ্দিন ওরফে রাইফেল মহিউদ্দিন, আমিনুল ইসলাম হিমেল, মহিউদ্দিন মুহিন, ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৪ মে বরিশাল পলিটেকনিক ইনইষ্টিটিউটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে লোম হর্ষক সংঘর্ষ হয়। এ সময় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর দফায় দফায় হামলা চালায়। কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয় ছাত্র নজরুল ইসলাম, দুর্জয় ওরফে সবুজ, সুজীত, রিয়াজসহ আরো কয়েক ছাত্র।এ ঘটনায় পরদিন কলেজের অধ্যক্ষ মীর মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১৬ মে কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই কমলেশ হালদার ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকসহ ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।আদালতে ১৪ জনের মাধ্যে ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার সকল আসামিদের বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।নথি সুত্রে জানা গেছে, মামলায় ১৪ সাক্ষীর নাম থাকলেও আদালতে দাড়িয়ে সাক্ষী দিতে হাজির হয়েছেন মাত্র তিনজন। যারা সাক্ষী দিয়েছেন তারাও অভিযোগ সম্পর্কে বলতে পারলেও অভিযুক্ত কারো নাম বলতে পারেনি।
ইউটিউবের মাধ্যমে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে দেশ-বিদেশে। এ ঘটনায় সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় তোলে।