তানসেন আলম, বগুড়া

রোববার বগুড়ার শাজাহানপুরের নিশ্চিন-পুর দক্ষিণ পাড়ার একটি পরিত্যক্ত পায়খানার সেফ্‌টি ট্যাংক থেকে মানুষের হাড়-হাড্ডি এবং পাশের ডোবা থেকে মাথার খুলি উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত হাড়-হাড্ডি গুলো ওই এলাকার মৃত ফয়েজ উদ্দিনের নিখোঁজ হওয়া বিধবা কন্যা সুফিয়া বেওয়া (৫০)’র বলে স’ানীয়রা ধারণা করছে।

স’ানীয়রা জানায়, ওই এলাকার মৃত ফয়েজ উদ্দিনের বিধবা কন্যা এক সন-ানের জননী সুফিয়া বেওয়া (৫০) গত ৭ বছর যাবত নিশ্চিন-পুর ষ্ট্যান্ড এলাকায় আব্দুল হাকিমের হোটেলে কাজ করতো। ওই হোটেলের কর্মচারি কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম(২৮)’র সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে। এরপর থেকে হোটেলের অপর কর্মচারি সবুজের সাথে সুফিয়ার প্রায়ই কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে।

সুফিয়া বেগমের ছোট বোন পিয়ারা বেগম জানায়, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে হোটেলে কাজ করছিল। এ সময় সুফিয়ার সময় অনেকের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে। এমনকি তারা তার বাড়ীতেও বহুদিন রাত্রী যাপন করে। এনিয়ে কয়েকবার সালিশও হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে সুফিয়া বেগম হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়। তারপর অনেক খোঁজা-খুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে গত এক মাস পুর্বে প্রতিবেশী সামছুল আলম খুট্টুর গোবরের ভাড়া থেকে গোবর টানার সময় চুল সহ মাথার খুলি বেরিয়ে আসে। সে সময় ঝামেলা এড়াতে কাউকে কিছু না বলে খুলিটি পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। গতকাল রোববার বিকেলে নিশ্চিন-পুর দক্ষিণপাড়ার একটি পরিত্যক্ত সেফ্‌টি ট্যাংক থেকে শাজাহানপুর থানা পুলিশ মানুষের হাড়-হাড্ডি উদ্ধার করলে একমাস পূর্বে গোবরের ভাড়া থেকে মাথার খুলি রেড়িয়ে আসার বিষয়টি আলোচিত হয়। এর সূত্র ধরে পাশের ডোবা থেকে মাথার খুলিটি উদ্ধার হয়।

থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, উদ্ধার করা হাড়-হাড্ডি গুলো সুফিয়া বেগমের বলে স’ানীয়রা ধারনা করছে। তবে পরীক্ষা-নীরিক্ষা ছাড়া সঠিক সিদ্ধানে- পৌঁছা যাবে না। কেউ সনাক্ত করে মামলা দায়ের করলে ব্যবস’া নেয়া হবে। থানার পুলিশ ইন্সপেক্টার (তদন-) মোসলেম উদ্দিন জানান, মানুষের মাথার খুলি সহ হাড়-হাড্ডি উদ্ধারের ঘটনায় থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরী) করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হাড়-হাড্ডি গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here