তানসেন আলম, বগুড়া প্রতিনিধি :: বগুড়া গাবতলীর ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলার পর বৃহস্পতিবার গাবতলীর মহিষাবান মধ্যপাড়া ও রানীরপাড়া গ্রামে বসেছিল বউমেলা। মেলায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গৃহবধু ও তরুনীদের ছিল উপচেপড়া ভীড়। সাধ্যমত সকলে কেনা-কাটা করেছে এই বউমেলায়।
রানীরপাড়া গ্রামের মিতা খাতুন, শরীফা বেগম বলেন, সাধ্যমত তার পছন্দের চুরি-ফিতাসহ বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস্ সামগ্রী ক্রয় করেছেন। পোড়াদহ মেলায় যেতে না পারলেও বউমেলায় আসতে পেরে তিনি খুব খুশি।
মহিষাবান মধ্যপাড়া গ্রামে আয়োজিত বউমেলা কেনাকাটা আসা রূপসী খাতুন, নার্গিস বেগম ও রুহানী সিফাত বলেন, পোড়াদহ মেলায় পুরুষদের উপচে পড়া ভীর থাকার কারণে যেতে পারিনি। এজন্য বউমেলা এসেছি পছন্দের প্রসাধনী সামগ্রী কিন্তে। মেলায় ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যেই ছিল সবকিছুর দাম।
বগুড়া শাহ সুলতান কলেজের ছাত্রী মল্লিকা ভাইয়ের সঙ্গে বউমেলায় এসেছেন। তিনি এই মেলাতে এসে নাগোর দোলায় উঠেছেন এবং শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরণের খেলনা ক্রয় করেছেন। মেলা আসতে পেরে তিনি দারুন খুশি বলে জানালেন।
মহিষাবান ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় যুবকরা ২২বছর আগে থেকে এ বউমেলা পরিচালনা করে আসছেন।
বউমেলা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক স্থানীয় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাবেসকলীগের আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, পোড়াদহ মেলায় পুরুষদের উপচেপড়া ভীড় থাকে। ইচ্ছা থাকলেও মেয়েরা ওই মেলায় যেতে পারেনা। এটা উপলব্ধি করে প্রায় ২২বছর আগে থেকে এই বউমেলার আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে বউমেলা পরিচালিত হয়েছে।