শিশুকে মুখ বেঁধে ধর্ষনের চেষ্টাখোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতিনিধি:: শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের চর চটাং গ্রামে ব্র্যাক স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া সারে ৬ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা করে রানা নামের এক কিশোর।

৮ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরবর্তী স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে। ভিকটিমের মানসিক ও শাররীক অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত সারে ৯টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় ভাবে বিচার না পাওয়ায় ভিকটিমের পিতা আইনী আশ্রয় নিবে বলে জানিয়েছে।

সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে ভিকটিম জানায়, স্কুল ছুটির পরে প্রতি দিনের ন্যায় আজও সহপাঠি সাবিহা, মারিয়া ও আফিফার সাথে বাড়ি ফিরছিল। পথি মধ্যে স্থানীয় ছায়েদ মাদবরের ছেলে রানা (১৩) ভিকটিমকে জোর করে পাট ক্ষেতের দিকে নিয়ে যায়। চিৎকার করায় সাথে থাকা গামছা দিয়ে ভিকটিমের মুখ বেধে ফেলে রানা। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিধেয় জামা ও প্যান্ট খুলে ফেলে। এতে ভিকটিম মুখ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হয়। প্রতিবেশী এক মহিলা ভিকটিমকে উদ্ধার করে। তখন রানা পালিয়ে যায়।

ভিকটিমের মা জানায়, ঘটনার পরবর্তী মেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কোন পুরুষ মানুষ দেখলেই ভয় পায় আর মুখ লুকিয়ে রাখে। মানুষিক ভাবে খুব আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে তার মেয়ে। মেয়েকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনতে চাইলে স্থানীয় খোকন পেদা, ইছাহাক মোল্যা, তাজুল মোল্যা, আজিজুল সরদার ও মান্নান সরদার বাঁধা দেয়। মেয়ের অবস্থা বেশী অবনতি হওয়ায় পালিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ভিকটিমের পিতা জানায়, স্থানীয় ভাবে কোন বিচার পাইনি। এখন আইনের আশ্রয় নিবো।

প্রভাবশালী খোকন পেদা বলেন, স্থানীয় ভাবে মীমাংসার জন্য চেষ্টা করি। রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে হাসপাতালে নিতে বলি।

রানার মামা মান্নান সরদার বলেন, রানা মাদরাসায় পড়ে। বয়স ১০ বছর হবে। আমি মুরব্বি হিসেবে আসছি। ভাগ্নে যেহেতু এ ঘটনা ঘটাইছে যত টাকা লাগুক মীমাংসা করবো।

পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কেই থানাকে অবগত করেনি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here