ডেস্ক নিউজ :: ভারতের কুখ্যাত ধর্ষকগুরু গুরুমিতকে প্রতি রাতে মেয়ে সাপ্লাই দিত পালিত কন্যা হানিপ্রীত। হানিপ্রীতর বান্ধবী ও ডেরার এক সাধ্বী এ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর জি নিউজের।
হানিপ্রীতের ওই বান্ধবীর প্রতিদিন রাত ১০টার সময় হানিপ্রীতকে এসএমএস করত রাম রহিম। আর রাম রহিমের দাবি পূরণ করত হানিপ্রীত।
তিনি জানান, রাম রহিমের সঙ্গে হানিপ্রীতের শারীরিক সম্পর্ক ছিল। তাদের এক বিছানায় শুয়ে থাকতেও বহুবার দেখেছেন তিনি। নিজে তো বটেই, অন্য মেয়েদেরও রাম রহিমের লালসার শিকার হতে বাধ্য করত সে।
তদন্তকারীদের সাধ্বী জানিয়েছেন, রাম রহিমের ডেরায় যখন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো তখন সুন্দরী সাধ্বীদের অনুষ্ঠানে হাজির করানোর দায়িত্ব থাকত হানিপ্রীতের ওপর। প্রত্যেক সাধ্বীর ওপরই নজর থাকত রাম রহিমের। যাকে পছন্দ হতো, তাকে রাতে যেতে হতো ‘বাবা’র গুহায়।
কোন সাধ্বীকে সেই রাতে লালসার শিকার বানাতে চায়, তা অনুষ্ঠান চলাকালীনই ঠিক করে নিত রাম রহিম। পরে তার নাম হানিপ্রীতের মোবাইলে এসএমএস করে দিত সে।
সাধ্বীর দাবি, প্রথমে স্বেচ্ছায় আনন্দের সঙ্গে গুহায় যেতে রাজি থাকত মেয়েরা। কারণ হানিপ্রীত তাদের বোঝাত, তারা ‘বাবা’র আশীর্বাদ পাবে। এরপর হানিপ্রীত তাদের গোলাপি রঙের পানীয় খাওয়াতো। সেটা পান করার পরই কিছুটা আচ্ছন্ন হয়ে যেত তারা। তখন গুরুমিত তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত।
ভণ্ডবাবার গুহা থেকে বেরোনোর পর কোনো মেয়েই আর কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে থাকত না বলে দাবি করেছেন সাধ্বী।
সাধ্বীর কথায় উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাম রহিম নাকি গুহার ভেতর ৪-৫ জন সাধ্বীর সঙ্গে নগ্ন অবস্থায় নাচ করত। তারা আরও দাবি করেছেন, হানিপ্রীতের জন্যই নিজের পরিবারের সঙ্গে প্রায় সব সম্পর্কই ছেদ করেছিল রাম রহিম।